এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

মেয়েদের ওপর আস্থা ছোটনের

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
শুধু আমাদের গ্রম্নপেই নয়। এখানে অংশ নেয়া বাকি দলগুলোও আমাদের থেকে শক্তিমত্তা ও অবকাঠামোগতভাবে অনেক এগিয়ে। তবে আমাদের মেয়েদের উপর আমার আস্থা আছে। ইতোমধ্যে তারা অনেক আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিয়েছে। সফলও হয়েছে।
কঠিন প্রতিপক্ষ, ইউরোপে হচ্ছে না প্রস্তুতি, সেই সঙ্গে ডেঙ্গু আতঙ্ক তো আছেই। তারপরও 'এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে' আগের আসর থেকে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শিষ্যদের ওপর আস্থা রাখছেন দলের সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশসহ আছে এশিয়ার সেরা ৮টি দেশ। লাল-সবুজের মেয়েরা খেলবে 'এ' গ্রম্নপে। তাদের খেলাগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ১৫ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ড, ১৮ সেপ্টেম্বর জাপান এবং ২১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোচ ছোটন বলেছেন, 'আমাদের লক্ষ্য থাকবে আগের আসর থেকে এবার আরও ভালো করার। এখানে অংশ নিতে পারাটাই অনেক বড় ব্যাপার। কারণ এখানে অংশ নেয়া দলগুলো শুধু এশিয়াতেই নয় বিশ্বপর্যায়ে সেরা দলগুলোর মধ্যে অন্যতম।' আগের আসরে দল কম থাকায় এই আসরের মূল পর্বে যেতে দলগুলোকে একটি বাছাইপর্ব খেলতে হয়েছিল। এবার দলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মূল পর্বে যেতে দলগুলোকে খেলতে হয়েছে দুটি বাছাইপর্ব। বাংলাদেশ দুটি পর্বেই কোয়ালিফাই করে চূড়ান্তপর্বে নাম লেখায় সাফল্যের সঙ্গে। এশিয়ার ৪৭টি দেশের মধ্যে সেরা আটটি দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। এদেরই একটি লাল-সবুজের বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও শিষ্যদের ওপর আস্থা রাখছেন ছোটন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'শুধু আমাদের গ্রম্নপেই নয়। এখানে অংশ নেয়া বাকি দলগুলোও আমাদের থেকে শক্তিমত্তা ও অবকাঠামোগতভাবে অনেক এগিয়ে। তবে আমাদের মেয়েদের উপর আমার আস্থা আছে। ইতোমধ্যে তারা অনেক আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিয়েছে। সফলও হয়েছে। তাই অন্যবারের থেকে ফিটনেস, টিম কম্বিনেশন, আত্মবিশ্বাস সবই অনেক বেশি।' ছোটনের সব থেকে বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা হলো প্রতিটি পজিশনেই বিকল্প খেলোয়াড় আছে তার। শুধু তাই নয়, দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই একসাথে দুই-তিনটি পজিশনেও খেলতে পারদর্শী। আগের আসরের ছোট-খাটো ভুলগুলো নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন কোচ। আর আঁখি, মারিয়া, মানিকা, নীলা, আনুচিং, ঋতুপর্র্ণা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র, সাজেদা এরা সবাই আগের চেয়েও অনেক বেশি পরিণত বলে অভিমত তার। এই দলটাকে ইউরোপে নিয়ে গিয়ে অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচের যে ঘোষণা দিয়েছিল বাফুফে সেটি হচ্ছে না। তাই দেশেই প্রস্তুতি সারতে হচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েদের। তবে কোচ ছোটন জানান থাইল্যান্ডে গিয়ে সেখানের স্থানীয় দল বা জাতীয় দলের সঙ্গে দু'টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। আগামী ১০ আগস্ট থেকে ঈদের ছুটিতে যাচ্ছে মেয়েরা। ছুটি থাকবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। বাফুফে ক্যাম্পে ডেঙ্গু নিয়ে খুব সচেতন থাকলেও গ্রামের বাড়িতে গিয়ে যাতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকে মেয়েরা সে বিষয়ে খেলোয়াড়দের কাউন্সিলিং করানো হয়েছে বলে জানান ছোটন। গত জুনে ৪৩ ফুটবলারকে নিয়ে ট্রায়াল শুরু করেছিল বাফুফে। সেখান থেকে দল ছোট করে ৩০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। থাইল্যান্ডে যাবার আগে আরও ছোট করে ২৩ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হবে।