বাংলাদেশের জন্য যে কারণে কঠিন

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশকে সব সময় ভাবনায় রাখতে হয়েছের্ যাংকিং। আর এবার হিসাবটা ভিন্ন। আগামী বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে বাংলাদেশকে খেলতে হবে দেশে-বিদেশে চারটি করে মোট আটটি ওয়ানডে সিরিজ। প্রতিটি সিরিজ খেলতে হবে বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে। এই আটটি সিরিজের ২৪টি ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে বিশ্বকাপের হিসাব-নিকাশ। দেশের মাঠে অন্য দলকে ডেকে টানা সিরিজ জিতে পয়েন্ট বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকছে না। বিশ্বকাপের হিসাব-নিকাশ থাকবে বলে কোনো দলেরই কোনো সিরিজ হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে প্রতিটি সিরিজেই। ২০২৩ বিশ্বকাপের পথ মসৃণ রাখতে এই সিরিজগুলোয় ভালো ফল করে সেরা আটে থাকতেই হবে বাংলাদেশকে। না হলে খেলতে হবে আরও একটি বাছাইপর্ব। যেখানে থাকবে অনেক শঙ্কা-সংশয়। তাই সংশয় দূর করতে নিশ্চয়ই সেরা আটেই থাকতে চাইবে টাইগাররা। তবে এই তিন বছরে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। অন্য আটটি দলের মধ্যে ঘরের মাঠে পাবে শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে। তাই এই দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাওয়াটা বেশ সহজই হবে বলা যায়। কেননা ঘরের মাঠে সবসময় ভালো খেলে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের মাটিতে জয় পাওয়াটাও সহজ হবে। তবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরকে মাটিতে মোকাবেলা করাটা বরাবরই কঠিন। তবে টাইগাররা যে ছেড়ে কথা বলবে না, সেটা বলে দেয়াই যায়। সুতরাং এই সিরিজগুলো খেলে সেরা আটে জায়গা করে নেয়াটা বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই নিশ্চিত, সেটা বলা বাহুল্য। তবে হঁ্যা, ম্যাচ বাই ম্যাচ, সিরিজ বাই সিরিজ হিসেব করে, প্রতিটি ম্যাচ সিরিয়াস ভাবে নিয়েই খেলতে হবে তামিম-সাকিবদের।