সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অবসরের ঘোষণা দেননি গেইল ক্রীড়া ডেস্ক ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শেষে অবসর নেবেন- এমন ঘোষণা দিয়েও সরে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্রায়ান লারার রান ও ম্যাচের রেকর্ডের খুব কাছে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য মত পাল্টেছেন ক্রিস গেইল। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজে দুটি রেকর্ডই নিজের নামের পাশে লিখিয়ে অনেক ইঙ্গিত দিয়েও অবসরের পথে হাঁটলেন না ক্যারিবীয় এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বুধবার পোর্ট অব স্পেনে সিরিজের শেষ ম্যাচের আবহ ছিল তেমনই। কিন্তু গেইল পরিষ্কার জানালেন, এখনো অবসরের ঘোষণা দেননি। বিশেষভাবে তৈরি '৩০১' নম্বর জার্সি পরে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে নামেন গেইল। খেলেন ৪১ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস, যার মধ্যে ৬২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। আউট হওয়ার পর প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বিরাট কোহলি তার সঙ্গে নেচেছেনও। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় গ্যালারির সমর্থকরা দাঁড়িয়ে জানান অভিবাদন। গেইল তার ব্যাটের হ্যান্ডলে হেলমেট রেখে চেনা ভঙ্গিতে মাঠ ছাড়েন। সব মিলিয়ে পরিবেশটা তৈরি হয়েছিল তার বিদায়ী ম্যাচের। তবে সেসব গুঞ্জনে পরে জল ঢেলে দিয়েছেন গেইল নিজেই। আলোচনা যখন তুঙ্গে। কিন্তু একে বিদায়ী ম্যাচ হিসেবে ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন গেইল। কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে মারকুটে ব্যাটসম্যান সাফ জানিয়ে দেন, আমি তো অবসরের ঘোষণা দেইনি। হাসিমুখে জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত উইন্ডিজের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন। তোষক বিক্রি করে ৭০ কোটির মালিক স্মিথ! ক্রীড়া ডেস্ক অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। নামের সঙ্গে বল টেম্পারিংয়ের কালিমা লাগলেও এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও দুর্দান্তভাবে ফিরেছেন মাঠে। তার আয়ের উৎসের শেষ নেই। ক্রিকেট থেকেই তো বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন আছে। পাশাপাশি তোষকের ব্যবসাও করেন তিনি! একেবারেই মিথ্যা নয়; গত ৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান! অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ জানিয়েছে, অনেক আগে থেকেই 'কোয়ালা ম্যাট্রেস' এর অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন স্মিথ। নিজের ব্যাটের পেছনেও এই কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নামেন। মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে করতে ব্যবসার শখ জাগে স্মিথের। সেই শখ থেকেই গত ২০১৫ সালে এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময় ওই ম্যাট্রেস কোম্পানির ১০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন তিনি। তখন কি স্মিথ ভেবেছিলেন, সেই টাকাই তাকে আরও টাকা এনে দেবে? গত চার বছরে দুই লাখেরও বেশি ক্রেতার কাছে ম্যাট্রেস বিক্রি হয়ে গেছে স্মিথের কোম্পানির। তারা এখন অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর ম্যাট্রেস কোম্পানি। বর্তমানে কোম্পানিটির ব্যবসার পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কাছাকাছি। আর স্মিথের লভ্যাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ কোটি টাকা! আর এর সঙ্গে ক্রিকেটের টাকা যোগ হয়ে স্মিথের সম্পত্তির পরিমাণ ৩১ মিলিয়ন ডলার; যা তাকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ধনী ক্রীড়াবিদ বানিয়েছে। নাইট রাইডার্সের কোচ ম্যাককালাম ক্রীড়া ডেস্ক কানাডায় গেস্নাবাল টি২০ লিগ খেলে ব্যাট-প্যাড চিরদিনের জন্য তুলে রাখার ঘোষণা দেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এবার তার নতুন অধ্যায় শুরু হবে। সাবেক এই নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিয়েছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। কয়েক দিন আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ক্লাব ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচ হন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। কলকাতা ও ত্রিনবাগোর মালিক একই ফ্র্যাঞ্চাইজি। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা জানায়, 'নতুন প্রধান কোচ হিসেবে আজ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নাম ঘোষণা করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।' ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে কলকাতার জার্সিতে খেলেন ম্যাককালাম। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেন ১৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২০১০ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে খেলেন। দ্বিতীয় দফায় যোগ দেন ২০১২ সালে, ওই বছর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা। খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাককালামের অবদানের কথা তুলে ধরেছে কলকাতা, '২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একজন খেলোয়াড় হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সে অনেক অবদান রেখেছেন ম্যাককালাম।