লর্ডস টেস্ট

জমে উঠেছে লর্ডস টেস্ট

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ওয়ার্নারের উইকেট হারাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অ্যাশেজে এসে মোটেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না ওয়ার্নার। আগের টেস্টেও ছিলেন ব্যর্থ। এবারও দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে ট্র্যাভিস হেডের বিপক্ষে সফল এলবিডবিস্নউর আবেদন জানাচ্ছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ড ব্রড -ওয়েবসাইট
এজবাস্টন ইংল্যান্ডের দুর্গ হওয়ার পরেও তা ধসেছে ইংলিশদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা মিলল স্বাগতিকদের নড়বড়ে ব্যাটিং। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ২৫৮ রানে। তবে স্বাগতিকদের ৩০০ রানের নিচে অলআউট করেও স্বস্তিতে নেই সফরকারী অস্ট্রেলিয়াও। তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় আরও ৩টি উইকেট খুইয়ে বসেছে অজিরা। ৮০ রান তুলতেই চার-চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় ক্রিজে ছিলেন স্টিভেন স্মিথ (১৩*) ও ম্যাথু ওয়েড (০*)। এখনো ১৭৮ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের করা ২৫৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অ্যাশেজে এসে মোটেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না ওয়ার্নার। আগের টেস্টেও ছিলেন ব্যর্থ। এবারও দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়। ১৭ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ১৩ ওভার মোকাবিলা করে ১ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তুলেছিল। ৫ রানে ক্যামেরন বেনক্রফট এবং ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন উসমান খাজা তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। কিন্তু বেনক্রফট ১৩ এবং খাজা ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পরে ট্র্যাভিস হেড ৭ রানে স্টুয়ার্ট ব্রডের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৮০ রান। এর আগে লর্ডসের প্রথম দিনটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় দ্বিতীয় দিনটি অবশ্য পার হয়েছে নির্বিঘ্নে। মেঘলা আকাশ দেখে টস জিতে বল করাকে শ্রেয় মনে করেছেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। তাতে সফলও হয়েছে তারা। জেমস প্যাটিনসন চোটে থাকায় বদলি হিসেবে নেয়া হয় জস হ্যাজলউডকে। সেই হ্যাজলউড ধস নামান ইংলিশদের টপ অর্ডারে। ওপেনার রোরি বার্নসের ৫৩ রান ছাড়া জেসন রয় ও অধিনায়ক জো রুট ফিরে গেছেন শূন্য ও ১৪ রানে। ৩০ রান করা জো ডেনলিকেও বিদায় দিয়ে তাদের বিপদ বাড়িয়ে দেন তিনি। বার্নস কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়লেও তা ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। এরপর নড়বড়ে ব্যাটিংটা প্রকট হয়ে ধরা দেয় আরও। স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৩৮ রান। ইংল্যান্ড বড় লজ্জা থেকে বাঁচে লেজের দিকে জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকসের লড়াকু এক জুটিতে। ৭২ রানের সেই জুটিই ইংল্যান্ডকে পার করায় ২০০ রান। ক্রিস ওকসকে ৩২ রানে ফিরিয়েছেন কামিন্স। তবে লেজের দিকে ছোট ছোট জুটি গড়ে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করার দিকে ছুটতে থাকেন বেয়ারস্টো। অভিষেক হওয়া আর্চার বিদায় নেয়ার আগে করেন ১২ রান। সঙ্গীরা ব্যর্থ হলে শেষ উইকেটে ৫২ রানে বিদায় নেন বেয়ারস্টো। তাকে ফেরান লায়ন। বেয়ারস্টোর বিদায়ে ইংলিশদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫৮ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সমান তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজলউড।