রবি শাস্ত্রীই ভারতের কোচ

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
রবি শাস্ত্রী
আভাস ছিল রবি শাস্ত্রী ফের পেতে যাচ্ছেন ভারতের কোচের দায়িত্ব। কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়াকে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছিল এটি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। হলোও তাই। শাস্ত্রী ছাড়া দেশি-বিদেশি আরও পাঁচ কোচের সাক্ষাৎকার শেষে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কোচ শাস্ত্রীর মেয়াদই বাড়িয়েছে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট কট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) পরামর্শক কমিটি। বিশ্বকাপের পরে এমনিতেই ৪৫ দিনের চুক্তি বাড়ানো হয়েছে প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীসহ বাকি সাপোর্টিং স্টাফদের। তার আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন বিরাট কোহলিদের ফিজিও অ্যান্ড্রু লিপাস এবং ট্রেনার শঙ্কর বসু। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালে ভারতে হতে যাওয়া টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিরও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন শাস্ত্রী। শুক্রবার কপিল দেবের প্যানেলের কাছে ভারতের কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা পাঁচ কোচ সাক্ষাৎকার দেন। যাতে ছিলেন বাংলাদেশের কোচেরও সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন। হেসনের মতো শুক্রবার সরাসরি সাক্ষাৎকার দেন ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার রবিন সিং ও লালচাঁদ রাজপুত। ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টম মুডি ও ফিল সিমন্স। তবে ব্যক্তিগত কারণে সিমন্স নিজেকে এই লড়াই থেকে সরিয়ে নেন। সবার সাক্ষাৎকার শেষে কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামীর পরামর্শক প্যানেল রবি শাস্ত্রীকেই ফের মনোনীত করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ে বিসিসিআই কার্যালয়ে সাবেক ক্রিকেটার কপিল দেব জানান তিনজন কোচ প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। তবে তারা শেষ পর্যন্ত নানা দিক বিবেচনায় বেছে নিয়েছেন শাস্ত্রীকেই, 'তিন নম্বর হয়েছেন মুডি, দুই নম্বর মাইক হেসন, এবং সবার প্রত্যাশা অনুযায়ী এক নম্বর হয়েছেন রবি শাস্ত্রী। এটা তুমুল লড়াই ছিল।' শাস্ত্রীকে আবারও প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার কোচিংয়েই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্ট সিরিজ জয় করে ভারত। ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলের পরে শাস্ত্রী পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর ভারত ২১টি টেস্ট খেলে ১৩টিতে জয় পায়। ওয়ানডেতে ৬০ ম্যাচের মধ্যে কোহলিরা জয় পায় ৪৩টিতে। আর টি২০'র সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৩৬টি ম্যাচের মধ্যে ২৫টিতেই জেতে ভারত। বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি ভারত। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেন কোহলিরা। বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাপোর্টিং স্টাফদের চাকরি নড়েবড়ে ছিল। নতুন কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফ নিয়োগ করা হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিসিসিআই। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কোহলিদের কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন টম মুডি, মাইক হেসন, মাহেলা জয়াবর্ধনেসহ দুই হাজার সাবেক তারকা ক্রিকেটার। তাদের সেই সিভি না দেখে বরং কোচ শাস্ত্রীকে পুনরায় দায়িত্ব দিল বিসিসিআই।