এএফসি কাপ

আত্মবিশ্বাসী আবাহনীর সামনে অচেনা প্রতিপক্ষ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
তারা অবশ্যই আমাদের থেকে শক্তিধর দল। তাদের বিপক্ষে পূর্বে কোনো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই আমাদের। তবে ঘরের মাঠে ম্যাচ। অবশ্যই আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবো। ম্যাচ খেলার আগেই হার মেনে নিতে চাই না -সত্যজিৎ দাস রূপু
এএফসি কাপের দ্বিতীয় পর্বে এবারই প্রথম নাম লিখিয়েছে ঢাকা আবাহনী। আর ২১ আগস্ট প্রথমবারের মতোই উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। কিন্তু প্রতিপক্ষ অচেনা হলেও ঘরের মাঠে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী ছয় বারের প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। ক্লাবের ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু জানিয়েছেন হারার আগেই হেরে যেতে নারাজ তারা। এএফসি কাপের এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে আকাশি-নীলরা। যে কারণে ঈদের সংক্ষিপ্ত ছুটি কাটিয়ে বুধবার থেকেই আবারও অনুশীলনে নেমে পড়েছেন সোহেল-মামুনুলরা। এ প্রসঙ্গে দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু বলেছেন, 'আমরা ইতোমধ্যে ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছি। দলের সবাই সুস্থ আছে। কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই।' অন্যদিকে এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ একটু আগেভাগেই ঢাকায় চলে এসেছে। শনিবার দুপুরে ঢাকায় পা রাখেন তারা। মূলত ফ্লাইট সিডিউল নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা এড়াতেই তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়। কাগজে-কলমে প্রতিপক্ষ শক্তিধর হলেও ঘরের মাঠে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী লিগের বর্তমান রানার্স আপ দলটি। অচেনা এই প্রতিপক্ষ নিয়ে রূপু বলেছেন, 'তারা অবশ্যই আমাদের থেকে শক্তিধর দল। তাদের বিপক্ষে পূর্বে কোনো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই আমাদের। তবে ঘরের মাঠে ম্যাচ। অবশ্যই আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। ম্যাচ খেলার আগেই হার মেনে নিতে চাই না।' আফগান ফরোয়ার্ড মাসীহ সাইঘানীকে দলে না পাওয়ায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণ করতে ইতোমধ্যেই দুই বিদেশি ফুটবলারকে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছে ঢাকা আবাহনী। এদের একজন মিসরীয় ডিফেন্ডার আলাদিন নাসের অন্যজন দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডার লি তায় মিন। এই দু'জনকে নিয়ে বেশ আশাবাদী দলের পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। রক্ষণ নিয়ে যে দুর্বলতা ছিল সেটিও অনেকাংশে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দলের ম্যানেজারও। আবাহনীর অন্য দুই বিদেশি হলো নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা এবং হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলস ব্যালফোর্ট। ২১ আগস্ট হোম ম্যাচে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্লাবটির মুখোমুখি হবে আকাশি-হলুদরা। এরপর ২৮ আগস্ট পিয়ং ইয়ংয়ে খেলবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। এএফসি কাপের নকআউট পর্বে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এএফসি কাপের ইন্টার জোন সেমিফাইনালের বিজয়ী দল খেলবে ইন্টার জোন পেস্ন-অফ ফাইনালে। এই ম্যাচের বিজয়ীরা চলে যাবে এএফসি কাপের ফাইনালে। ২ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ফাইনালের অন্য দল আসবে ওয়েস্ট জোন থেকে। ওয়েস্ট জোন ফাইনালের পেস্ন-অফে মুখোমুখি হবে জর্ডানের আল জাজিরা ও লেবাননের আল আহেদ।