সাকিবের সঙ্গে মাশরাফিকেও চায় রংপুর

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক বিপিএলের সপ্তম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। তার আগে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে আয়োজক কমিটি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভাবনা জানতে ও নিজেদের মতামত জানাতে মঙ্গলবার বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন রংপুর রাইডার্সের প্রতিনিধিরা। এদিন নতুন করে আরও চার আসরের জন্য বিপিএলে তাদের দলের থাকা নিশ্চিত করে যান প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক সাদেক। পরে সাংবাদিকদের জানান তাদের মূল দাবি ছিল দুটি। যার একটি, পেস্নয়ার্স ড্রাফটের আগেই যেন অন্তত একজন স্থানীয় খেলোয়াড়কে সরাসরি দলে ভেড়ানো যায়। দ্বিতীয়টি, খেলোয়াড় রি-টেনশন পদ্ধতি অর্থাৎ গত আসর থেকে যেন কিছু খেলোয়াড় নিজ নিজ দলে ধরে রাখা যায়। দুটি দাবিই যদি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল মেনে নেয় তাহলে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দেখা যেতে পারে রংপুরের ডেরায়। বিপিএলের গত দুই আসরে রংপুরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। রিটেইন প্রক্রিয়ায় আগামী আসরেও তাকে ধরে রাখতে চায় রংপুর। আইকন ক্যাটাগরিতে ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে এবার রংপুরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব। যদিও আয়োজকরা বলছেন এই চুক্তির কোনো ভিত্তি নেই। কেননা সপ্তম আসর থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের নতুন চক্র। যেখানে নিয়ম-কানুনে আসবে অনেক পরিবর্তন। নতুন কাঠামো তৈরির আগেই চুক্তি সেরে ফেলায় কিছুটা বিপাকেই পড়েছে বিসিবির এই কমিটি। প্রাথমকিভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার রিটেইন প্রক্রিয়া থাকবে না। সব হবে নতুন করে। শেষ পর্যন্ত রংপুরের দুটি দাবিই যদি মেনে নেয়া হয় তাহলেই কেবল সম্ভব মাশরাফি ও সাকিবের তাদের দলে খেলা। আয়োজক কমিটির সঙ্গে আলোচনা ও বিপিএলের পরের আসর নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে ইশতিয়াক সাদেক বলেন, 'আমাদের পরামর্শ ছিল যেহেতু একটা টিম ২ বছর ধরে একভাবে খেলে আসছে, পরবর্তী চার বছর খেলার জন্য টিমের একটা কোড দরকার। টিমের কিছু খেলোয়াড় রিটেইন করার ব্যাপার আছে। সে রিটেনশন চেয়েছি আমরা। বোর্ড বলছে আইকন খেলোয়াড় বলে কিছু নাকি থাকবে না। যে কারণে একজন স্থানীয় খেলোয়াড়কে যেন সরাসরি নেয়া যায় সেই ডাইরেক্ট সাইনিং আমরা চেয়েছি। বোর্ড বলছে বিদেশি ডাইরেক্ট সাইনিং দুই অথবা তিনজন করবে। আমরা বললাম, যেহেতু ফরেন করবে লোকাল ডাইরেক্ট সাইনিং কেন নয়।' রংপুর রাইডার্সের এই প্রতিনিধি জানান, স্থানীয় একজন খেলোয়াড়কে যদি ড্রাফটের বাইরে রাখা হয় তাহলে তারা সাকিবকেই দলে নেবেন। আর রিটেইন প্রক্রিয়া চালু থাকলে রেখে দেয়া হবে মাশরাফিকে। ইশতিয়াক জানালেন, আন্তর্জাতিক টি২০ থেকে আগেই অবসর নেয়ায় প্রথা থাকলেও আইকন থাকার ইচ্ছা নেই মাশরাফি নিজেরও, 'মাশরাফি গত বছর থেকেই আইকন না থাকতে চেয়েছিল, কারণ সে টি২০তে নেই। বিপিএল যেহেতু টি২০ এথিক্যালি বা লজিক্যালি মাশরাফিকে আইকন রাখা যায় না। আইকন হবে নতুন কেউ, খুব প্রমিসিং। বোর্ড বলছে আমরা নিজেরাও জানি আমাদের দেশে সাতজন প্রপার আইকন খুঁজে বের করাই মুশকিল। সে হিসেবে মাশরাফিরও ইচ্ছা নাই আইকন থাকার।' সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে এভাবে চুক্তি নবায়নের পর নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনবে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। নিয়ম কেমন হওয়া উচিত তা নিয়েও কিছু পরামর্শ দিয়ে যাওয়ার কথা জানায় রংপুর, 'আমার মনে হয় এখানে সাকিব কোনো বড় ইসু্য না। যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজি পেমেন্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল, সে কারণে তারা জানতে চাইল আমরা কী পরবর্তী চার বছরের জন্য রাজি কিনা। নিঃসন্দেহে বসুন্ধরা গ্রম্নপ রংপুর রাইডার্স হিসেবে থাকতে চায়। এরপরও উনারা কিছু নতুন নিয়ম কানুন বদল করবে। নতুন নিয়ম কানুন কিভাবে করতে চায় কিভাবে করলে ভালো হবে জানতে চাইলে। আমরা মোটামুটি সব ব্যাপারেই একমত হয়েছি। আমরা কিছু পরামর্শ দিয়েছি, বলেছি লিখিতভাবে জানিয়ে দেব।'