বিকেএসপি নির্ভরতা কমছে হকিতে

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগামী বছর এপ্রিলে ঘরের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি। টুর্নামেন্টে ভালো ফলাফল করার উদ্দেশ্যে আগে ভাগেই মাঠে নেমে পড়েছে হকি ফেডারেশন। সারাদেশ থেকে বাছাই করা ৩৫ খেলোয়াড়ের সঙ্গে জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার হকি লিগে খেলা ২৫ জনসহ সর্বমোট ৬০ খেলোয়াড়কে নিয়ে রোববার থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব ২১ দলের দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল ক্যাম্প। ১০ দিন পর আরও ছোট করা হবে দল। তাদের নিয়ে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে প্রস্তুতি। সুখের বিষয় হলো প্রতিবার বিকেএসপির ওপরই বেশি নির্ভর করতে হলেও এবার বাইরের খেলোয়াড়ই বেশি ঠাঁই পেয়েছে ক্যাম্পে। অর্থাৎ বিকেএসপির ওপর নির্ভরতা কমছে হকিতে। যেটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন হকি সংশ্লিষ্টরা। হকি ফেডারেশনের এমন উদ্যোগে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের ভালো একটি পাইপলাইন পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন দলের কোচ মামুন-উর-রশিদ। ক্যাম্প নিয়ে দলের কোচ মামুন-উর-রশিদ বলেছেন, 'এখান থেকে বাছাই করা ৪০ জনকে নিয়ে আগামী বছর এপ্রিল পর্যন্ত চলবে ক্যাম্প। সেখান থেকেই বাছাই করা হবে জুনিয়র এশিয়া কাপের মূল দল।' ৩৫ জনের মধ্যে বিকেএসপির ১৫ জন, বিমান বাহিনীর ৮ জন, ঢাকার ৪ জন এবং একজন করে রয়েছে সেনাবাহিনী, চাঁদপুর, রাঙামাটি, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ থেকে। আর বাকি ২৫ জন জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়। নতুন এই খেলোয়াড়রা দলের সঙ্গে যোগ হওয়া হকির উন্নয়ন তরান্বিত করবে বলে মনে করছেন জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার লিগে খেলে আশা খেলোয়াড়রা। আর কোচ মামুন মনে করেন ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করবে এই দীর্ঘ মেয়াদি ক্যাম্প। এ প্রসঙ্গে দলের কোচ বলেছেন, 'এখানে যারা এসেছে তাদের ধরে রাখাটাই বড় বিষয়। এদের যদি দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেনিং করানো হয় তাহলে পাইপ লাইনে অন্তত ৩০ জনের মতো ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি, ফেডারেশন যে বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের ধরে রেখে দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা করলে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল আসবে।' নতুন খেলোয়াড়দের কেমন দেখছেন? জানতে চাইলে কোচ বলেন, 'নিঃসন্দেহে চমৎকার। ভিন্নরকম ভালো লাগা। এখানে যারাই এসেছে মন থেকে এসেছে। আর এটিই কাজে লাগাতে চাইছি। যেগুলো বলে কয়ে করাতে হয়; সেখানে তারা নিজেদের আগ্রহ থেকেই করেছে। এটা যে কোন কোচের জন্যই অ্যাডভান্টেজ। যে ক'জনই এখানে সুযোগ পেয়েছে তারা অত্যান্ত মেধাবী এবং এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে।' ১০ দিন পর বাছাই করা ৪০ জনকে নিয়ে শুরু হবে দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প। তাদের নিয়ে ভারতে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাও আছে ফেডারেশনের। সবমিলিয়ে অনূর্ধ্ব ১৮ ও ২১ দুটি দলই বিদ্যমান এই ৬০ জনের ক্যাম্পে।