লংকা বধের লক্ষ্য রাকিবুলদের

আমরা প্রথম ম্যাচে জয় লাভ করেছি ভুটানের বিপক্ষে। নেপালের সঙ্গে শ্রীলংকার ম্যাচটি দেখে তাদের দুর্বলতা-সবলতা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ইনশালস্নাহ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চেষ্টা করব আমরা

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক সাফ অনূর্ধ্ব ১৫ আসরের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে বাংলাদেশের কিশোরদের। প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে বড় জয়ের পর আজ শ্রীলংকার বিপক্ষেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রত্যাশা রাকিবুলদের। ভারতের কল্যাণী স্টেডিয়ামে দুপুর সাড়ে ১২টায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা। ২০১১ সালে সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ টুর্নামেন্টে শ্রীলংকার সঙ্গে একই গ্রম্নপে ছিল বাংলাদেশ। 'বি' গ্রম্নপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলংকাকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল কিশোররা। এরপর ২০১৩ সালে একই টুর্নামেন্টে আবারও গ্রম্নপ পর্বে দেখা হয় দুই দলের। আর ওই ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৩-১ গোলে হারায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ২০১৫ সালের অনূর্ধ্ব ১৬ সাফ, যেবার নিজেদের দেশে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবার গ্রম্নপ 'এ'তে আবারও শ্রীলংকাকে পায় তারা। ওই ম্যাচে লংকানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা ছিল ৪-০ গোলের। ২০১৭ থেকে টুর্নামেন্টটি হয় অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নামে। একই গ্রম্নপে আবারও শ্রীলংকাকে ৪-০ গোলে হারায় লাল-সবুজরা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সাফেও চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ওই আসরে অবশ্য শ্রীলংকা অংশই নেয়নি। দুই বছর পর আবারও শ্রীলংকাকে পেয়েছে টিম বাংলাদেশ। এবার ৫ দল হওয়াতে কোনো গ্রম্নপ নেই। টুর্নামেন্ট হচ্ছে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ গ্রম্নপের সেরা দুই দল ফাইনালে খেলবে শিরোপার জন্য। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরুটা করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। অপরদিকে প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে লংকানরা। আর তাই প্রথম ম্যাচের মতোই পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা আর দারুণ জয়ে শুরু করা মিরাদ-রাজুরা আত্মবিশ্বাসের পূর্ণ জ্বালানি নিয়েই নামছেন লংকা বধের সংকল্প নিয়ে। দলের কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বলেছেন, 'আমরা প্রথম ম্যাচে জয় লাভ করেছি ভুটানের বিপক্ষে। নেপালের সঙ্গে শ্রীলংকার ম্যাচটি দেখে তাদের দুর্বলতা-সবলতা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ইনশালস্নাহ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চেষ্টা করব আমরা।' আগের দিন ম্যাচ জিতে শনিবার রিকভারি সেশন করেছে বাংলাদেশ দল। কোচ জানান, দলে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। বরাবরের মতোই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেবে তার দল। ভারতে গরমটা একটু বেশি হওয়াতে সেখানে খেলতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে দলের কোচ মনে করেন সেটি উভয় দলের খেলোয়াড়ের জন্যই প্রযোজ্য। তাই গরম থাকুক আর বৃষ্টিই হোক যে কোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই ম্যাচটা জিতে মাঠ ছাড়ার প্রত্যাশা বাংলাদেশের কোচের। এখন পর্যন্ত ফাইনালে খেলার রেসে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ভারত ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ২৭ আগস্ট নেপাল এবং ২৯ আগস্ট ভারতের মুখোমুখি হবে রাকিবুলরা। বাংলাদেশ দল: রাকিবুল, মিরাদ, আল-আমীন, নাঈম, পিয়াস, শাহীন, মেহদী, অপূর্ব, শুভ, মূন্না, ইমন, রাজু, রানা, রাব্বি, সাজেদ, অনন্ত, হৃদয়, জয়ন্ত, সাব্বির, গোলাম রাব্বী, বাদশা, রাজীব, জনী।