শ্রীলংকাকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে শ্রীলংকাকে গোলবন্যায় ভাসানোর পর বাংলাদেশের কিশোরদের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া প্রতিবেদক অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়নদের মতোই যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। শুরুটা হয়েছে ভুটানকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলের কাছে এবার দুমড়ে-মুচড়ে গেল শ্রীলংকা। ফরোয়ার্ড আল আমিন রহমানের পাঁচ গোলের সঙ্গে বাকিদের দুই, লঙ্কান কিশোরদের ৭-১ ব্যবধানে উড়িয়ে ফাইনালের পথে আরেক কদম এগোল সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গেল বছর পাকিস্তানকে হারিয়ে মেহেদী-উচ্ছ্বাসদের হাত ধরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা দ্বিতীয়বারের মতো ঘরে তুলেছিল লাল-সবুজরা। সেই শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লংকানদের উড়িয়েই দিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোররা। সবমিলিয়ে লংকানদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেলেছে লাল-সবুজের দল। আল আমিনের পাঁচ গোলের সঙ্গে বাকি দুটি গোল করেছেন রাকিবুল ইসলাম ও আল মিরাদ। রেফারির বাঁশির পর থেকে যেন তেতে ওঠে মিরাদ-আল আমিনরা। সাতবার লংকানদের জালে বল জড়ায় বাংলাদেশ। বাফুফের একাডেমির এক ঝাঁক ফুটবলার মঞ্চ পেয়ে যেন জ্বলে ওঠেন দ্বিতীয় ম্যাচেও। এত বড় জয়ের শুরুটা যদিও ছিল অনেক পরে। পাঁচ দলের আসরে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হচ্ছে এবারের সাফ। পয়েন্ট তালিকার সেরা দুই দল খেলবে ফাইনালে। প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে, ২৭ আগস্ট। সেই ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে উঠে যাবে আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকাকে পাত্তাই দেয়নি। তাতে প্রথমার্ধে আদায় করে নেয় তিনটি গোল। বাকি চারটি গোল এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। তবে আধিপত্য বিস্তার করতে কিছুক্ষণ সময় লেগেছে ছেলেদের। ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশকে আটকে রাখতে পারাটাই শ্রীলংকানদের এদিনের সাফল্য। ম্যাচের ৩২ মিনিটে সতীর্থের পাস থেকে বক্সে ঢুকে গোলকিপার থারুসা রাশমিকার পাশ দিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন আল আমিন। ১০ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ে বাংলাদেশের। ডিফেন্ডারদের জটলা কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পেস্নসিং শটে দারুণ এক গোল করেন অধিনায়ক রাকিবুল ইসলাম। বিরতিতে যাওয়ার এক মিনিট আগে তৃতীয় গোলের দেখা মেলে। সতীর্থের পাস থেকে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আল আমিন। বিরতির পর আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। শুরুর দিকে আরও একটি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় তারা। ৪৮ মিনিটে অপূর্ব মালির চমৎকার থ্রো-ইন থেকে ফরোয়ার্ড আল মিরাদ হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন। অবশ্য দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে এক গোল হজম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এক ডিফেন্ডার হেডে ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। সুযোগ পেয়ে শ্রীলংকার ফরোয়ার্ড ইনসান মোহাম্মদ মিহরান পেস্নসিং শটে শোধ দেন একটি গোল। এরপরেও আক্রমণে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি বাংলাদেশের। ৫৯ মিনিটে আরও একটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে। আল আমিন রহমান দেখা পান হ্যাটট্রিকের। ৬৬ মিনিটে ষষ্ঠ গোলটি আসে বাংলাদেশের। কাটব্যাকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের অবস্থা আরও শোচনীয় করে ছাড়েন আল আমিন। পাঁচ মিনিট পর আবারও কাটব্যাক থেকে নিজের পঞ্চম গোলটি করে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আল আমিন। ব্যবধান হয়ে যায় ৭-১। যেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ব্রাজিল-জার্মানির ম্যাচ মনে করিয়ে দিল রাকিব-আল আমিনরা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে ফোর্টিজ গ্রাউন্ডে বাফুফের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এই ফুটবলাররা।