সালাহর নৈপুণ্যে দারুণ জয় লিভারপুলের

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক টানা দুই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা দুই দলের লড়াই শুরুতে জমল বেশ। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে একটু-একটু করে পিছিয়ে পড়তে থাকা আর্সেনাল শেষ পর্যন্ত পেল চলতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হারের স্বাদ। মোহাম্মদ সালাহর জোড়া গোলে টানা তৃতীয় জয়ের উৎসবে মাতল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে শনিবার রাতে আর্সেনালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। রাতের আরেক ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল চেলসি। টামি আব্রহামের জোড়া গোলে নরিচ সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল। ঘরের মাঠে ৪১তম মিনিটে কর্নার থেকে ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপের হেডে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ম্যাচ থেকে আর্সেনালের ছিটকে যাওয়ার সেই শুরু। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডি-বক্সের মধ্যে সালাহর জার্সি টেনে ধরে হলুদ কার্ড দেখেন ডেভিড লুইস। স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ভুল হয়নি মিসরের ফরোয়ার্ডের। সালাহর ৫৮তম মিনিটের গোল আসরে আর্সেনালের প্রথম হার অনেকটাই নিশ্চিত করে দেয়। নিজেদের অর্ধ থেকে ফাবিনিয়োর লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ। শেষ দিকে ব্যবধান কমানো গোল পায় আর্সেনাল। সতীর্থের ছোট পাস ধরে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিচু শটে জাল খুঁজে নেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার লুকাস তররেইরা। তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬। এদিকে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে তরুণ মিডফিল্ডার ড্যানিয়েল জেমসের শেষ দিকের গোলে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে যোগ করা সময়ে আবারও গোল হজম করে হারের হতাশায় মাঠ ছেড়েছে উলে গুনার সুলশারের দল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পুরো ম্যাচে বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য করে ইউনাইটেড। তবে পাল্টা আক্রমণ নির্ভর ফুটবলে পার্থক্য গড়ে দেয় প্যালেস। তাদের গোল দুটি করেন জর্ডান আইয়ু ও পাত্রিক ফন আনহোল্ট। ৩২তম মিনিটে আচমকা পাল্টা আক্রমণে গিয়ে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় প্যালেস। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল আরেকজনের কাঁধে লেগে পেয়ে যান আইয়ু। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে ঠান্ডা মাথায় পেস্নসিং শটে গোলটি করেন ঘানার এই ফরোয়ার্ড। ৮৮তম মিনিট দারুণ গোছানো এক আক্রমণ থেকে ম্যানইউকে সমতায় ফেরান ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস। কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দুরূহ কোণ থকে বল জালে পাঠিয়ে প্যালেসের অসাধারণ এক জয় নিশ্চিত করেন ফন আনহোল্ট। অপরদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে চেলসিকে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে নেন ২১ বছর বয়সী টামি আব্রাহাম। ডান দিক থেকে সেসার আসপিলিকুয়েতার ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন অরক্ষিত এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। তিন মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে নরিচ সিটি। তেমু পুক্কির আড়াআড়ি পাস ধরে খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন টড ক্যান্টওয়েল। ১৭তম মিনিটে আবারও চেলসিকে এগিয়ে নেন ম্যাসন মাউন্ট। অবশ্য চেলসির এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ এবারও ছিল ক্ষণস্থায়ী। ৩০তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান নরিচের ফিনিশ স্ট্রাইকার পুক্কি। তবে ৬৮তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে পার্থক্য গড়ে দেন আব্রাহাম। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে তার নেয়া নিচু শট জালে জড়ালে ৩-২ গোলের জয় নিশ্চিত হয় চেলসির।