বঙ্গবন্ধুর নামে এবারের বিপিএল

এটার পেছনে আরেকটা কারণ আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। কাজেই বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে এবারেরটা আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে চালাব, এবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই দিচ্ছি না

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নাজমুল হাসান পাপন
ক্রীড়া প্রতিবেদক বিপিএলের সপ্তম আসর হবে কিনা- তা নিয়ে একটা সংশয়, সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। তবে সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন-বিপিএল হচ্ছে। বিপিএলের সপ্তম আসর নতুন এক স্টাইলে হচ্ছে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিপিএলের নাম রাখা হচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু বিপিএল'। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিভিন্ন ইসু্যতে বনিবনা না হওয়ায় চলতি বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ঘরোয়া টি২০ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দলগুলো পরিচালনা করবে বিসিবি নিজেরাই। চলতি বছর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তিতেও যায়নি বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় ঘরোয়া আসরের নামেও আনা হচ্ছে বদল। বুধবার মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে নতুন আদলে বিপিএল আয়োজন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আগের আসরের সাতটি দলকে নিয়ে নির্ধারিত সূচিতে বিপিএলের সপ্তম আসর শুরু হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। তার আগে ৩ ডিসেম্বর হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকায় পুরো আসর মাঠে গড়াবে বিসিবির অর্থায়নে। অর্থাৎ প্রতিটি দলের এবং ক্রিকেটারদের খরচ বহন করবে বোর্ড। দলগুলো পরিচালনাও করবে তারা। চলতি বছর সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেই চুক্তি শেষ হয়ে যায় বিসিবির। নতুন চুক্তির আগে দুই পক্ষ নানান বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিসিবি প্রধান জানান, এরকম পরিস্থিতির কারণে সব বিবেচনায় কেবল এই বছরের জন্য তারা হাঁটছেন নতুন এই পথে, 'আপনারা জানেন যে আমাদের প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেছে। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আবার নতুন চুক্তি করার কথা। এর মাঝে ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। পত্রপত্রিকায় ওদের যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি। ওদের বেশকিছু দাবিদাওয়া আছে। ওই দাবিদাওয়াগুলো আমাদের মূল যে মডিউল তার সঙ্গে পুরো সাংঘর্ষিক। আমরা কোনোভাবে মানিয়ে নিতে পারছি না।' পাপন বলেন, 'কয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাদের বলেছে এই বছর আরেকটা বিপিএল না হোক, সেটাই ওরা চায়। বলছে যে এক বছরে দুটি লোড বেশি হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বারের বিপিএল বিসিবি নিজেরাই চালাবে। আমরা কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যাচ্ছি না।' ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী হওয়ায় এবার বিপিএলকে বিশেষ আসরের তকমা দিয়ে এই আদল সাজাচ্ছে বলেও জানান বোর্ড প্রধান, 'এটার পেছনে আরেকটা কারণ আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। কাজেই বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে এবারেরটা আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে চালাব, এবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই দিচ্ছি না।' ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকলেও আগেরবারের সাতটি দলই থাকছে এবারের বিপিএলে। তবে সব ম্যানেজমেন্ট থাকছে বিসিবির কাছেই, 'প্রত্যেক দল যা দল যা ছিল সব ঠিক থাকবে। শুধু ম্যানেজমেন্ট আমাদের থাকবে। খেলোয়াড়দের থাকা-খাওয়া, গাড়ি সবকিছু আমরা করব। এতে করে অন্যরা খুশি হবেন। যারা (ফ্র্যাঞ্চাইজি) এবার করতে চাচ্ছিলেন না তারা খুশি হবেন। যারা আর্থিক ক্ষতির কথা বলছেন তারা তো আরও বেশি খুশি হবেন। তাদের পুরো টাকাটাই বেঁচে যাবে।' 'আপনারা বিগ ব্যাশের কথা চিন্তা করতে পারেন। একই ফরম্যাটে হবে। এবারেরটা বঙ্গবন্ধু বিপিএল। আর স্পন্সর আসলে তার নাম যাবে আগে। সব করবে বিসিবি। এখনো এটা প্রাথমিক ধাপ। আমরা দলের স্পন্সরশিপ নিতে পারি। কেউ যদি দলের স্পন্সর নিতে চায়, আসতে চায় দলের সঙ্গে। স্পন্সর আসতে পারে। ' সাতটি দল একই থাকলেও তাদের নামে আসতে পারে বদল, 'এটা (দলের নাম) স্পন্সরের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমরা চেষ্টা করব ঠিক (আগেরবারের মতো) রাখতে। কিছু না হলে ঢাকা, খুলনা এসব নাম তো থাকবে। আগের নাম রাখারই চেষ্টা হবে। কারণ এইটা (ফরম্যাট) তো পরেরবছর নাও থাকতে পারে।' ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দাবি-দাওয়ার মধ্যে বড় এক দাবি ছিল বিপিএলের আয়ের অংশ। কিন্তু বিসিবি প্রধান পরিষ্কার জানিয়ে দেন এসব দাবি কোনোভাবেই মানতে পারবেন না তারা, 'কোনভাবেই ওদের দাবি-দাওয়া মানা সম্ভব না। রেভিনিউ শেয়ার কোনোভাবেই সম্ভব না।'