মুশফিকদের হারিয়ে প্রস্তুত জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শুরুতে দলে না থাকলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফতুলস্না স্টেডিয়ামে বুধবার একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে খেললেন মুশফিকুর রহিম -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া প্রতিবেদক আসল লড়াইয়ের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে অনায়াসেই বিসিবি একাদশকে হারিয়েছে সফরকারীরা। অথচ স্বাগতিকদের দলে ছিলেন মুশফিকুর রহিম-সাব্বির রহমানদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। বুধবার ফতুলস্নার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সফরকারীদের সাদামাটা লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল তারা। এরপর অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ নিয়ে ব্রেন্ডন টেইলর-হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের চমকে দিতে পারেনি দলটি। এই হতাশার মাঝে স্বস্তির খবর একটাই আফিফ হোসেন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তবে টি২০ দলে জায়গা পাওয়া ইয়াসিন আরাফাত মিশু বল হাতে হতাশই করলেন। ১৪৩ রান তাড়া করে ১৬ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। টেইলর-মাসাকাদজা ৪.৫ ওভারে যোগ করেন ৪২ রান। ২৩ বলে ৬ চারে ৩১ রান করা অধিনায়ক মাসাকাদজার বিদায়ে ভাঙে জুটি। অফস্পিনে তাকে ঘায়েল করেন আফিফ হোসেন। এরপর দ্রম্নত আরও দুটি উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশের টি২০ দলে থাকা আফিফ। সাজঘরে পাঠান ক্রেইগ আরভিন (৬ বলে ৪) ও শন উইলিয়ামসকে (৬ বলে ২)। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরতে পারেনি বিসিবি একাদশ। একপ্রান্তে টেইলর ছিলেন অবিচল। পাঁচে নেমে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন টিমিসেন মারুমা। টেইলর ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মারুমা খেলেন ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১ ছয়। স্বাগতিকদের হয়ে আফিফ ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩ ওভারে দেন ২০ রান। বাংলাদেশ দলে নতুন ডাক পাওয়া পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু ছিলেন খরুচে। ২২ রান দেন ২ ওভারে। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান তোলে বিসিবি একাদশ। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন তিনে নামা সাব্বির রহমান। ৩১ বলের ইনিংসে মাত্র ১টি ছয় মারেন তিনি। পূর্ব ঘোষিত একাদশে না থাকলেও নিজেকে ঝালিয়ে নিতে এদিন মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। চারে নেমে ২ চারে ২৬ বলে করেন ২৬ রান। এছাড়া দুই ওপেনার সাইফ হাসান ১৯ বলে ২১ ও নাঈম শেখ ১৪ বলে ২৩ রান করেন। জিম্বাবুয়ে ব্যবহার করে সাত বোলার। বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। পেস অলরাউন্ডার নেভিল মাদজিভা ২ উইকেট পান ৩৫ রানে। একটি করে উইকেট শিকার করেন দুই পেসার কাইল জারভিস ও টেন্ডাই চাতারা। লেগব্রেক বোলার রায়ান বার্ল উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৭ রান। সংক্ষিপ্ত স্কোর বিসিবি একাদশ: ১৪২/৭ (২০ ওভারে) (সাইফ ২১, নাঈম ২৩, সাব্বির ৩০, মুশফিক ২৬, আফিফ ১০, ইয়াসির ৬, সাইফউদ্দিন ৭*, আরিফুল ৯, ইয়াসিন ২*; উইলিয়ামস ৩/১৮, জারভিস ১/১৭, চাতারা ১/৩১, মাদজিভা ২/৩৫, বার্ল ০/১৭, মুতোমবোদজি ০/৪, মুনইয়োঙ্গা ০/২০)। জিম্বাবুয়ে: ১৪৪/৩ (১৭.২ ওভারে) (টেইলর ৫৭*, মাসাকাদজা ৩১, আরভিন ৪, উইলিয়ামস ২, মারুমা ৪৬*; সাইফউদ্দিন ০/২০, ইয়াসিন ০/২২, আফিফ ৩/১৯, আরিফুল ০/১৪, আমিনুল ০/৩৭, শফিকুল ০/৩১)। ফল: জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে জয়ী।