বাংলাদেশকে হারানো কঠিন মনে করে না জিম্বাবুয়ে

আমি বলব দুটো দলই শক্তিশালী। টি২০ ক্রিকেটে আমাদেরও সাফল্য আছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে আমরা বেশ ভালো টি২০ খেলেছি। অতএব আমার মনে হয় না যে আমরা অনেক পিছিয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করব। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। এরই মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচসহ একটি টেস্ট ম্যাচও খেলেছে রশিদ খান নেতৃত্বাধীন দলটি। অন্যদিকে নিজেদের ঘরের মাঠে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বরাবর ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে টাইগাররা। ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে কি দুই প্রতিপক্ষের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। এমনটাই প্রশ্ন ছিল দলটির অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার কাছে। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিজের দলকে এগিয়েই রাখলেন জিম্বাবুয়ে দলনেতা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এসব হিসেব মাথায় আনছেন না, নিজেদের একটু পিছিয়েও রাখতে রাজি নন তিনি, 'দুটি দল খুবই শক্তিশালী। আফগানিস্তান দারুণ টি২০ খেলছে। আর বাংলাদেশ খেলবে ঘরের মাটিতে। আমি বলব দুটো দলই শক্তিশালী। টি২০ ক্রিকেটে আমাদেরও সাফল্য আছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে আমরা বেশ ভালো টি২০ খেলেছি। অতএব আমার মনে হয় না যে আমরা অনেক পিছিয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করব। বাংলাদেশকে হারানো কঠিন মনে করে না জিম্বাবুয়ে।' কয়েকদিন আগেই ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকায় আইসিসির সদস্যপদ হারাতে হয় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে। এরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করে। তবে এসব ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান মাসাকাদজা, 'অনেক কিছুই ঘটেছে। তবে এগুলো সব কিছুই পর্দার আড়ালে। দিনশেষে আমার মূল কাজটি হচ্ছে ক্রিকেট খেলা। বোর্ডে কি ঘটেছে সেটা না ভেবে মাঠের ক্রিকেটে আরও মনোযোগ দিতে চাই। নিজের দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চাই।' ত্রিদেশীয় সিরিজে সিকান্দার রাজাকে রেখেই চলে এসেছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দলের এই তারকা অলরাউন্ডারকে বাদ দেয়া হয়েছে। রাজাকে মিস করবেন নাকি? জবাবে মাসাকাদজা বলেন, 'অবশ্যই তাকে পেলে অনেক ভালো হতো। আপাতত তিনি দলের সঙ্গে নেই। আশা করি তার জায়গায় অন্য কেউ দলের হয়ে ভালো করবে।' ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে নেমেছিলেন। এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে 'গুডবাই' জানাতে চলছেন মাসাকাদজা, 'আমার ক্যারিয়ারটা অনেক দীর্ঘ ছিল উলেস্নখ করে তিনি বলেন, অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরে আমার মতো সবাই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করে।' দেড় যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহুবার বাংলাদেশে এসেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। আন্তর্জাতিক সিরিজের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতেও আসা হয়েছে বেশ কয়েকবার। যে কারণে টাইগার ক্রিকেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাই রাখেন জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। প্রথমবার যখন এসেছিলেন, কোনো স্মৃতি কি মনে পড়ে? 'সম্ভবত তখন আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। আমি যেটি মনে করতে পারছি তা-হলো, উইকেট খুবই ব্যাটিং সহায়ক ছিল। বিশ্বের সেরা ব্যাটিং উইকেট মনে হয়েছে সেটিকে।' একটা সময় বাংলাদেশের মূল ক্রিকেট ভেনু্য ছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। বর্তমানে যেটি ফুটবলের আঁতুড়ঘর। ২০০৬ সালে ক্রিকেট মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সব লড়াই হতো সেখানে। আর সেখানকার উইকেট এতটাই ফ্ল্যাট ছিল যে, বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্রিকেটারদের প্রিয় ভেনু্যর তালিকায় থাকত। ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে মাসাকাদজার চোখেমুখে ধরা পড়ল সন্তুষ্টির ছাপ। বড় কোনো অতৃপ্তি ছাড়াই শেষ করতে যাচ্ছেন ক্যারিয়ার, 'আমার মনে হয় ক্যারিয়ারটা লম্বা ও সাফল্যমন্ডিত ছিল। উত্থান-পতন থাকেই। তবে আমি বলব, পুরো সময়টা উপভোগ করেছি।'