ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে ভাবেন না রোনালদো

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
ক্রীড়া ডেস্ক কিছুতেই যেন থামতে চাইচ্ছেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্লাব ফুটবলের ফর্মটাই তিনি মেলে ধরেন জাতীয় দলের জার্সিতে। ইউরো বাছাইয়ে লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে যেমন করেছেন ৪ গোল। ৩৪ বছর বয়সেও পারফরম্যান্সের ধারা একই রাখা এই উইঙ্গার এবারের ব্যালন ডি'অরেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে তার খুব একটা ভাবনা নেই। একই সঙ্গে পর্তুগিজ যুবরাজ জানিয়েছে দারুণ সময় উপভোগ করছেন তিনি। উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে ছিলেন রোনালদো। ফিফা বর্ষসেরার খেলোয়াড়ের চূড়ান্ত পর্বেও আছেন পর্তুগিজ তারকা। যদিও ?ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে মোটেও ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের ৫-১ গোলের জয়ের পর রোনালদো বলেন, 'যেমনটা আমি সবসময় বলি, ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে আমি খুব একটা ভাবি না। দলীয় জয়ের কারণেই এটা (ব্যক্তিগত পুরস্কার) আসে। তবে মিথ্যা বলব না, পুরস্কার পেলে আমারও খুব ভালোই লাগে।' দেখতে-দেখতে বয়স ৩৪ পেরিয়ে গেছে রোনালদোর। তবে আরও লম্বা সময় খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি। শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, দলীয় সাফল্যে ফুটবল উপভোগ করছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী। তিনি বলেন, 'আমি ভালো অনুভব করছি। জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য দারুণ গর্বের বিষয়। শুধু গোল করেছি বলে নয়, গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের লেভেলের কারণে আমি খুবই খুশি।' গত মৌসুমে পর্তুগালের উয়েফা নেশনস লিগ জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রোনালদোর। এর আগে ২০১৬ সালে পর্তুগিজদের প্রথম ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়েও ছিল এই উইঙ্গারের ছোঁয়া। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক উপহার দেয়া রোনালদো জানিয়েছেন, দারুণ সময় উপভোগ করছেন তিনি। লিথুয়ানিয়া ম্যাচের পর পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদো গোল হলো ৯৩টি। জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তার সামনে আছেন কেবল ইরানের আলি দাই (১০৯টি)। আর ইউরোর বাছাই ও মূলপর্ব মিলিয়ে রেকর্ড ৩৪ গোল হলো পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের। দেশের হয়ে অষ্টম হ্যাটট্রিক করা রোনালদো জানালেন সময়টা উপভোগের কথা। দলের পারফম্যান্স নিয়েও খুশি ৩৪ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড, 'দারুণ একটা সময়ের মধ্যে আছি আমি; একই সঙ্গে কথাটা পুরো দলের জন্যও যায়। আমি খুশি এবং নিজেকে উপভোগ করছি। শুধুমাত্র গোল করেছি বলে নয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা যে পর্যায়ে খেলছি তার কারণেও।' ইউরো বাছাইয়ে পরের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবনার কথাও জানালেন সিরি'আয় জুভেন্টাসের হয়ে খেলা এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড, 'জাতীয় দলকে সাহায্য করা আমার কাজ। সার্বিয়াকে হারিয়ে আমরা সবচেয়ে কঠিন ধাপটা পেরিয়েছিলাম। এদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। এখন সবকিছু উন্মুক্ত। সামনেই আমাদের দুটি ম্যাচ আছে। একটা নিজেদের মাঠে, অন্যটা প্রতিপক্ষের মাঠে এবং আমি মনে করি, দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলে গ্রম্নপ পেরুনোর জন্য যথেষ্ট হবে।'