এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

জয়ে শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন -বাফুফে
ক্রীড়া প্রতিবেদক 'এএফসি অনুর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের' চুড়ান্ত পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। যেখানে দ্বিতীয় বারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়ারা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় চনবুড়ি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজরা। এর আগে দুপুর তিনটায় জাপানের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়েই টুর্নামেন্টের শুরুটা করতে চান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। 'এএফসি অনুর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের' চুড়ান্ত পর্ব একই সঙ্গে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপেরও বাছাই পর্ব। তাই বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য টুর্নামেন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিশ্বকাপে খেলতে হলে লাল-সবুজের মেয়েদের পারী দিতে হবে আরো কঠিন পথ। 'এ' গ্রম্নপে তাদের সঙ্গে আছে থাইল্যান্ড,জাপান,অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন দলগুলো। অন্যদিকে গ্রম্নপ 'বি' গ্রম্নপের দলগুলো হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও চীন। আট দলের মধ্যে সেরা দুই দলের একটি হয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তারপরও মারিয়া-আঁখিরা শুরুর আগেই হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ভালো শুরুর প্রত্যাশা তাদের। তারপর ম্যাচ বাই ম্যাচ নিজেদের সেরাটা খেলার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোরীরা। এর আগে ২০১৭ সালে একই আসরের মূল পর্বে অংশ নিয়ে ভরাডুবি হয়েছিলো বাংলাদেশের। তবে কোচ ছোটন মনে করছেন এবারের আসরে আর তেমনটি করবে না তার দল। এ প্রসঙ্গে ছোটন বলেছেন,'দু'বছর আগে আমাদের দলটি একেবারেই নতুন ছিলো। জাপান,অস্ট্রেলিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে তাই আমাদের ব্যবধানটাও অনেক বেশি ছিলো। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ দল এই টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং কতটা উন্নতী হয়েছে সেটি আমরা দেখাতে পারবো।' ছোটন আরো বলেন,'গত ১৬ মাস ধরে আমাদের মেয়েরা একসঙ্গে ট্রেনিং করছে। আমরা দু'টি বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছি। প্রথমটি ঢাকায় এবং পরেরটি মিয়ানমারে। মিয়ানমারে খেলে আসার পর থেকে গত ছয় মাস ধরে মেয়েরা অনুশীলনের মধ্যেই আছে।' 'এখানে আমরা এসেছি গত ৫ সেপ্টেম্বর। তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি এখানে। সেখান থেকে মেয়েরা অনেক শিক্ষা নিয়েছে।' যোগ করেন ছোটন। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের কোচ কাইনসন ন্যারোইফোন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রথম থাই দল হিসেবে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলতে চান তারা। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী তার শিষ্যরা। ম্যাচ প্রসঙ্গে থাই কোচ বলেছেন,'স্বাগতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে চাই। প্রতিটি দলের মতোই আমাদেরও লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলা। গত বছর থেকে আমরা বাছাই পর্বে অংশ নিচ্ছি এবং আমাদের টিমটা প্রায় দেড় বছর ধরে একসঙ্গে আছে। এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।' এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ নারী আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই পর্বে (সাউথ এ্যান্ড সেন্ট্রাল) নিজেদের মাঠে ২০১৬ সালেও বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে এই আসরের মূল পর্বে অংশ নিলেও কঠিন প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ আসরে মূলপর্বে যেতে একটি ধাপ পেরুতে হয়েছিল। কিন্তু এবার দল বেশি থাকায় দুটি ধাপ পেরুতে হবে বাংলাদেশকে। ভারত যেহেতু ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক, সেহেতু তারা এই আসরে সরাসরি খেলবে। বাংলাদেশকে সেখানে পৌছাতে হলে কঠিন প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে। ৮ দলের মধ্যে সেরা দু'টির একটি হতে হবে তাদের।