মাঠে পাদ্রি ডাকলেন ম্যারাডোনা!

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
দিয়াগো ম্যারাডোনা
গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার ক্লাব জিমনেসিয়ার কোচের দায়িত্ব নেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার মাটিতে দিয়াগো ম্যারাডোনার কোচিং অধ্যায়ের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দশ বছর পর কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনাতে ফেরার দুই সপ্তাহের মাঝেই অবশ্য বেশকিছু পাগলাটে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। লিগের তলানিতে থাকা জিমনেসিয়াকে বাঁচানোর জন্য মাঠে পাদ্রি ডাকা, সবুজ রঙের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু অদ্ভুত কাজ করেছেন ম্যারাডোনা। মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল জিমনেসিয়া। দলকে অবনমনের হাত থেকে বাঁচাতেই ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কিছু অদ্ভুত কাজ করে সবার নজর কেড়েছেন ম্যারাডোনা। দায়িত্ব নেয়ার পর দলের সাথে অনুশীলনের প্রথমদিনেই ম্যারাডোনা অনুশীলন মাঠে ডেকে আনেন স্থানীয় এক পাদ্রিকে। ক্লাবের ওপর থেকে সবধরনের কু নজর দূর করতে ও ফুটবলারদের বিশেষ আশীর্বাদ করার জন্যই ওই পাদ্রীকে এনেছিলেন ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনা জিমনেসিয়া ক্লাবে নিষিদ্ধ করেছেন সবুজ রঙকে! অনুশীলন হোক কিংবা মূল ম্যাচ, ওই রঙের জার্সি, বুট কিংবা অন্য কিছু পরতে পারবেন না ফুটবলাররা। ১৩ ও ১৭ নম্বর জার্সিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমান দলে ১৩ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন হেসুস ভারগাস ও ১৭ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন পাবলো ভেলাজকু। ম্যারাডোনা তাই লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, এই দুই ফুটবলারের জার্সি নম্বর বদল করে ওই দুই জার্সি নম্বরকে নিষিদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হোক। তবে এখনো সেই চিঠির জবাব আসেনি। এছাড়া ম্যারাডোনা দলে আনতে চাচ্ছেন সাবেক সাউদাম্পটন স্ট্রাইকার দানি ওসভালদোকে। ২০১৬ সালে 'রকস্টার' হওয়ার জন্য ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন ওসভালদো। ফুটবল ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবার বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। সতীর্থদের সাথে দুইবার হাতাহাতি করে সমালোচিত হয়েছিলেন। শেষবার বোকা জুনিয়র্সের হয়ে খেলার সময় ড্রেসিংরুমে তাকে ধূমপান করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরেছিলেন কোচ গুইলেরমো স্কেলোটো। এই ঘটনায় ওসভালদোর সাথে চুক্তি বাতিল করে বোকা। এতকিছু করেও অবশ্য জিমনেসিয়ার ভাগ্য ফেরাতে পারেননি ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচে রেসিং ক্লাবের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে জিমনেসিয়া। ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল রেসিং, পরে সমতা ফেরায় জিমনেসিয়া। ৫৪ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় রেসিং। এই গোলটাই শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে তাদের। ম্যাচের পর ম্যারাডোনা বলছেন, তার দলের অন্তত ত্র করে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল, 'আমরা সমতা ফেরানোর কম চেষ্টা করিনি। ফুটবলে এমনটা হয়। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, আমরা রেসিংয়ের চেয়ে খারাপ খেলিনি। তবে তাদের মানসম্মত ফুটবলার অনেক আছে। তাদের কাছ থেকে বল নেয়ার জন্য দ্বিগুণ দৌড়াতে হয়।'