আবারও জয় চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফিফা প্রীতি ম্যাচে গত রোববারই ভুটানকে হারিয়েছিল ৪-১ গোলে। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার আবারও সফরকারীদের হারাতে চায় জামাল ভুইয়ারা। বুধবার অনুশীলনে জেমি ডে ও তার শিষ্যরা -বাফুফে
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই ২০২২-এর দ্বিতীয় পর্বে আর মাত্র কয়েকদিন পরই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হবে কঠিন প্রতিপক্ষ কাতারের। ১০ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এর আগে প্রস্তুতি হিসেবে ভুটানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আজ বঙ্গবন্ধুতে সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও ভুটানকে হারাতে চান বাংলাদেশের প্রধান কোচ জেমি ডে। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বড় জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে কখনই বাংলাদেশের জন্য কঠিন ছিল না ভুটান। অতীত পরিসংখ্যান বলছে, বরাবরই এগিয়ে ছিল লাল-সবুজরা। একটি মাত্র হার ছাড়া এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আর কোনো তিক্ত স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। যদিওর্ যাংকিংয়ে ভুটান দুই ধাপ এগিয়ে (১৮৫ তম)। এই দুই ম্যাচ দিয়ে সেই পার্থক্যটা ঘোচানোর লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের। প্রথম ম্যাচে এসেছে জয়। যেহেতু ম্যাচগুলো ফিফা টায়ার ওয়ানের। তাই এই ম্যাচেও জয় পেলের্ যাংকিংয়ে উন্নতির সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। সেই সুযোগটা হেলায় হারাতে চান না জেমি ডের শিষ্যরা। পরিসংখ্যান ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ভুটান থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে দুই দলের মোট ১২ বার দেখা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ১ বার হেরেছে বাংলাদেশ। ড্র করেছে ২টি আর বাকি ৯টি ম্যাচেই জয়। সর্বপ্রথম ১৯৮৪ সালে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন গেমে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। যেখানে ভুটানকে ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। এরপর একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর একই টুর্নামেন্টে একই ব্যবধানে জিতে লাল-সবুজরা। একই টুর্নামেন্টে ৩ বছর পর আবারও দেখা হয় দুই দলের। এবার বাংলাদেশ জিতে ৩-০ গোলে। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও ভুটানকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। একই টুর্নামেন্টে ২০০৫ সালেও একই ব্যবধানে জিতে লাল-সবুজরা। ২০০৮ সালের সাফে বাংলাদেশের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করে প্রথম পয়েন্ট কেড়ে নেয়ার ইতিহাস লিখে ভুটান। কিন্তু পরের আসরেই তারা আবারও বাংলাদেশের কাছে হারে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। ২০১৫ সালে সাফে ৩-০ গোলে ভুটানকে হারায় বাংলাদেশ। পরের বছর দুই দলের সাক্ষাৎ হয় এএফসি এশিয়ান কাপে। যেখানে ভুটান গোলশূন্য ড্র করে। একই বছর একই আসরে ৩-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। যেটি একই সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রাক বাছাইও ছিল। ওই হারের কারণে প্রায় তিনটি বছর ফিফা-এএফসি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে নির্বাসনে যেতে হয় বাংলাদেশকে। তবে ২০১৮ সালের সাফে আবারও স্বরূপে ফিরে বাংলাদেশ। এবার তারা ভুটানকে হারায় ২-০ গোলের ব্যবধানে। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেন জীবন-জামালরা। ওই ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজকের ম্যাচটিতেও জয় চায় বাংলাদেশ দল। কোচ জেমি ডে বলেন, 'প্রথম ম্যাচটি জিতে খেলোয়াড়রা খুশি। কাতারের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দুই ম্যাচে জিততে পারলে ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। আগামীকাল (আজ) ভুটানের বিপক্ষে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই। তাহলে প্রস্তুতিটা ইতিবাচকভাবে শেষ করতে পারব।' আগের ম্যাচে দুই গোল করা ফুটবলার নাবীব নেওয়াজ জীবন বলেন, 'কাতার অনেক শক্তিধর দল। এই ম্যাচ খেলার আগে ভুটানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আমাদের অনেক কাজে আসবে। যদিও তাদের বিপক্ষে আমরা একবার লজ্জাজনকভাবে হেরেছিলাম। তবে আমার মনে হয় না, ভুটান আমাদের থেকে সেরা। আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, এই ম্যাচেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারব আশা করি।' ভুটান ঢাকায় এসেছে এসএ গেমসের প্রস্তুতি নিতে। আর বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের রাউন্ড টু এর দুই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে প্রীতি ম্যাচ দুটি খেলছে। তাই দুই দলই সমান গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচটি খেলবে। আজ প্রস্তুতি ম্যাচের পর ১০ অক্টোবর কাতারের বিপক্ষে মূল ম্যাচ। এরপর ১৫ অক্টোবর ভারতকে মোকাবিলা করবে জেমি ডের শিষ্যরা।