অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে শিরোপা নোফেলের

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনূর্ধ-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নোফেলের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -বাফুফে
নামে নয়, কাজেই পরিচয়। অনূর্ধ্ব ১৮ ফুটবল টুর্নামেন্টে সেটিই করে দেখিয়েছে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। বুধবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। পেশাদার লিগে অংশ নেয়া ১৩ দলের ১২টির বয়সভিত্তিক দল নিয়ে শুরু হয়েছিল এবারের আসর। পেশাদার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, রানার্সআপ ঢাকা আবাহনী, ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের মতো ক্লাবগুলোই হয়তো শিরোপা ঘরে তুলবে। এমনটাই অন্তত সবাই ভেবেছিল। কিন্তু পেশাদার দল আর বয়সভিত্তিক দল যে এক নয় সেটাই প্রমাণ করেছে নোফেলের মতো ক্লাব। তরুণরা চাইলেই অনেক কিছু করে দেখাতে পারে। তার প্রমাণ এই ক্লাবটি। পেশাদার লিগে যারা কিনা এবার অবনমিত হয়েছে। বয়সভিত্তিক এ আসরে তাদের অনেকে গোনাতেই ধরেনি। শেষে কিনা বড় নামের ক্লাবগুলো ফাইনালেই খেলতে পারেনি। লড়াইটা হয়েছে নোফেল আর সাইফের মধ্যে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে সাইফ-নোফেল লড়াইটি হয়েছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। গোল পেতে বিজয়ী দলটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮০ মিনিট। ৮১ মিনিটে আরমান হোসেন আবিরের গোলে ম্যাচে লিড নেয় নোফেল (১-০)। শেষ পর্যন্ত ওই গোলটি আর শোধ করতে পারেনি সাইফ স্পোর্টিং। শিরোপা জয়ের পর নোফেলের একমাত্র গোলদাতা আরমান হোসেন আবির বলেছেন, 'অনেক চেষ্টা করছিলাম গোল করার। কিন্তু কিছুতেই বল পাচ্ছিলাম না। তারপরও যে দু-একটি বল পেয়েছিলাম সেগুলোও মিস করি। এ জন্য কোচের অনেক বকাও খেয়েছি। তবে আলস্নাহর রহমতে আমি অবশেষে গোল করি এবং সে গোলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হই। এ জন্য অনেক খুশি।' নোফেলের কোচ আকবর হোসেন রিদন বলেন, 'আন্ডার ডগ হিসেবেই এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম আমরা। আর এখন চ্যাম্পিয়ন। খুব ভালো লাগছে। আমার যে কোচিং দর্শন আর লক্ষ্য ছিল সেটি পূরণ করতে পেরেছি।' গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে পেশাদার লিগের ১২টি দল অংশ নেয় মোট ৪ গ্রম্নপে বিভক্ত হয়ে। গ্রম্নপ 'এ'তে চট্টগ্রাম আবাহনী, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। গ্রম্নপ 'বি'তে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। 'সি' গ্রম্নপে ঢাকা আবাহনী, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং বসুন্ধরা কিংস। এবং 'ডি' গ্রম্নপে খেলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। শেষ আট সেমিফাইনাল পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ডি গ্রম্নপের দুই দলই খেলেছে ফাইনাল। প্রত্যাশা থাকলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি বসুন্ধরা, আবাহনী-মোহামেডানের মতো ক্লাবগুলো। এবার টুর্নামেন্ট আকারে হওয়াতে অল্প দিনেই শেষ হলেও আগামীতে এই বয়সভিত্তিক আসরটি লিগ আকারে করার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।