টেস্ট সিরিজ

মায়াঙ্কের ডাবল সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে ভারত

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও তা ছুঁতে পারেননি রোহিত শর্মা। তবে টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে প্রত্যাবর্তনটা স্বপ্নের মতো হয়েছে তার। রোহিতের সঙ্গে স্বপ্নের এক ইনিংস খেছেন আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গে ৩১৭ রানের রেকর্ড জুটির পর ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মায়াঙ্ক। এই দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের ব্যাটে চড়ে ৭ উইকেটে ৫০২ রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিকরা। জবাবে ৩৯ রান তুলতেই ৩টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছে প্রোটিয়ারা। ডিন এলগার ২২ এবং টেম্বা বাভুমা ২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিলের খেলা শেষ করেছেন। ঘরের মাঠে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য ভারতীয় ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও একবার এর প্রমাণ দিচ্ছে বিরাট কোহলির দল। বিশাখাপত্তম টেস্টের দুই দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটের দ্যুতিময় আর শেষটা হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন ঘূর্ণিময়। এই দুইয়ের নৈপুণ্যেই সফরকারীদের চেপে ধরেছে কোহলির ভারত। টেস্ট ওপেনারের সঙ্কটে রোহিত শর্মা সুযোগ পেলেন ইনিংস উদ্বোধনের, আরেক পাশে মাত্র চার টেস্ট খেলা মায়াঙ্ক আগারওয়াল। পথমবারের মতো জুটি বেধে দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান গড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে ভারতের টেস্ট ইতিহাসের রেকর্ড জুটি। মায়াঙ্কের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। রোহিত শর্মা ১৭৬ রানে আউট হলেও, নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেয়া মায়াঙ্ক খেলেন ২১৬ রানের ইনিংস। পরে শেষ সেশনে ২০ ওভারের জন্য ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা, স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে মাত্র ৩৯ রান। এর মধ্যে ৮ ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন, অন্যটি গিয়েছে রবিন্দ্র জাদেজার ঝুলিতে। এখনও ৪৬৩ রানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রথম দিন শেষ সেশনের খেলা হয়নি। ৫৯.১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ২০২ রান সংগ্রহ করেছিল ভারত। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রোহিত অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে, মায়াঙ্কের সংগ্রহ তখন ৮৪ রান। দ্বিতীয় দিন সকালে ঠিক প্রথম দিনের মতোই খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিটাকে নিয়ে যান ৩১৭ রান পর্যন্ত।