তামিমের নির্দেশনা

বিশেষ বিবেচনায় উত্তীর্ণ বয়স্ক ক্রিকেটাররা

৩০-৩৫ জনের মতো পরীক্ষা দিয়েছেন। এদের মধ্যে যারা খুব চেনা মুখ, যেমন- আশরাফুল, তারা সবাই উন্নতি করেছে কিন্তু কেউ একদম বেঞ্চ মার্ক (এগারো) স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের জন্য হয়তো নির্বাচকরা আলাদা করে ভাববেন -তুষার কান্তি হাওলাদার, বিসিবি ট্রেনার দেখুন, বিপ টেস্ট বা ফিটনেস টেস্ট আর ম্যাচ ফিটনেস কিন্তু আলাদা জিনিস। এটা বজায় রাখতে হলে সারা বছর কাজ করতে হবে। আসলে আমি নিজেকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। লক্ষ্য ছিল ১৩। পায়ে ব্যথার কারণে ১২ দিতে পেরেছি -আল-আমিন, পেসার

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমন্যাসিয়ামে রাজ্জাক ও মোহাম্মদ শরীফদের উদ্দেশে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য দিক-নির্দেশনামূলক কথা বলছেন তামিম ইকবাল -বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফিটনেসে এই মৌসুমে বিসিবি কিছুটা ছাড় দেবে- সেই ইঙ্গিত নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন কিছুদিন আগেই দিয়েছিলেন। গেল মৌসুমে বিপ টেস্টে (ফিটনেস) পাসমার্ক ছিল ৯। এবার দুই ধাপ বাড়িয়ে তা ১১তে তুলে আনা হয়েছে। কয়েকজন সিনিয়র এই ধাপ উতরাতে পারেননি। এই সিনিয়ররা পরে অনুযোগ করেন- হঠাৎ করে বিপ টেস্টের নম্বর বাড়িয়ে দেয়ায় তারা ফিটনেস পরীক্ষায় বসার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারেননি। বিসিবি এই সিনিয়র ক্রিকেটারদের সমস্যাটা বুঝতে পারে। নির্বাচক হাবিবুল বাশার তখনই জানিয়েছিলেন- সিনিয়র এবং জাতীয় লিগে লম্বা সময় ধরে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই বিপ টেস্টের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেয়া হবে। তাদের জন্য ফিটনেসের পাসমার্কও একটু কমিয়ে আনা হবে। প্রথমবার বিপ টেস্টে আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেনরা বেঁধে দেওয়া এগারোর নিচে স্কোর করেছিলেন, তাদের জন্য গতকাল রোববার আয়োজন করা হয় আরেকটি পরীক্ষার। দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেও 'বেঞ্চ মার্ক এগারো' ছুঁতে পারেননি তারা। তবে আগের চেয়ে উন্নতি হওয়ায় নির্বাচকদের বিশেষ বিবেচনা নিয়ে জাতীয় লিগে থাকছেন তারা। এনসিএল খেলার ছাড়পত্র মিলল তাহলে! বিসিবির বেঁধে দেয়া বিপ টেস্টে (ফিটনেস) অবশেষে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথমবার পরীক্ষা না দেওয়া এবং প্রথমবারের পরীক্ষায় উতরাতে না পারা ৩৫ জন ক্রিকেটার এদিন সকালে অংশ নেন বিপ টেস্টে। বিসিবি ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার জানিয়েছেন আগেরবারে উতরাতে না পারা সবাই এই পাঁচদিনে উন্নতি করেছেন, '৩০-৩৫ জনের মতো পরীক্ষা দিয়েছেন। এদের মধ্যে যারা খুব চেনা মুখ, যেমন- আশরাফুল, তারা সবাই উন্নতি করেছে কিন্তু কেউ একদম বেঞ্চ মার্ক (এগারো) স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের জন্য হয়তো নির্বাচকরা আলাদা করে ভাববেন। তাদের বয়স এবং খেলার অভিজ্ঞতা হয়তো বিচার করা হবে।' প্রথমবার ৯.৫ পাওয়া আশরাফুল এদিন পেয়েছেন ১০.১। দশের কাছাকাছি আছেন মোহাম্মদ শরিফ, নাসির, রাজ্জাকরাও। এদিন বিসিবির বেঁধে দেওয়া মানদন্ড ১১ পেরিয়ে গেছেন ইমরুল কায়েস, এর আগে বিপ টেস্ট দিতে পারেননি তিনি। আর চোটের কারণে এদিন টেস্ট দিতে পারেননি পেসার মোহাম্মদ শহিদ। শিশুপুত্রের অসুস্থতায় খেলার বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস মাঠে ফেরেন এই সপ্তাহে। প্রথমবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। তিনিও দেন পরীক্ষা। তাতে এগারোর বেশি পেয়েছেন তিনি। জাতীয় দল ও বিসিবির কোনো ধরনের দলে অনেকদিন না থাকা পেসার আল-আমিন হোসেন এদিন সর্বোচ্চ ১২.১ স্কোর তুলতে পেরেছেন। সিনিয়র ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, বিপ টেস্টের ব্যাপারটি ইতিবাচক, 'দেখুন, সবার আগে পারফরম্যান্স। হঁ্যা, কেউ যদি পারফর্ম খুব ভালো করে, তাহলে অবশ্যই তার ব্যাপারটি বিবেচনা করা হবে বলে জানি আমি। তবে একটু নূ্যনতম মান তো রাখতে হবে (বিপ টেস্টে)। আমার মনে হয়, ফিটনেসের এ ব্যাপারটি বেশ ইতিবাচক। পদ্ধতিও বদলাচ্ছে, গতবারের চেয়ে এবার বেশ আগেভাগে বলা হয়েছে এ ব্যাপারে।' 'আমাদেরকে বলা হয়েছে, যাতে ১১ তুলতে আমরা পরিশ্রম করি। তবে এরপরও একটু এদিক-ওদিক হলে উনারা দেখবেন, যেটা আমাদের জন্য খুবই স্বস্তির। খেলার বাইরে থাকার কথা চিন্তা করতে পারছি না, এখনও করিনি। সে কারণে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ', বলছেন রাজ্জাক। ফিটনেস বাড়ানোর ব্যাপারে ক্রিকেট-সংস্কৃতি বদলানোর তাগিদও দিচ্ছেন তিনি। পেসার আল-আমিন অবশ্য ঠিক খুশি নন, 'দেখুন, বিপ টেস্ট বা ফিটনেস টেস্ট আর ম্যাচ ফিটনেস কিন্তু আলাদা জিনিস। এটা বজায় রাখতে হলে সারা বছর কাজ করতে হবে। আসলে আমি নিজেকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। লক্ষ্য ছিল ১৩। পায়ে ব্যথার কারণে ১২ দিতে পেরেছি।' এগারো তুলতে পারেননি, তবে আগের চেয়ে উন্নতি করায় জাতীয় লিগ খেলার আশায় মোহাম্মদ আশরাফুল। জানা গেছে এবার বরিশাল বিভাগের হয়ে লিগ খেলার সুযোগ হচ্ছে তার। যদিও নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো কিছুটা ধোঁয়াশায় তিনি, 'আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। শেষবার ৯.৭ ছিল আমি, আজ ১০.১ দিয়েছি। আমি মনে করি, যত সময় যাবে আরও উন্নতি হবে। এখনো জানি না আসলে কী হবে। এতটুকু জানি উন্নতি হয়েছে। এভাবে ট্রেনিং করতে থাকলে উন্নতি হবে। ঠিক জানি না প্রক্রিয়াটা কী। যদি আবার দিতে হয় তাহলে দেব।'