বৈধতার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত আলিস

এখনো শতভাগ ফিট নই। ৮০ ভাগ ফিট বলতে পারেন। বোলিংটা অল্প করছি। ডিসেম্বরে বিপিএল। তার আগে শতভাগ ফিট হয়ে ওঠাই আমার চ্যালেঞ্জ। বোলিং অ্যাকশনের যে ব্যাপারটা সেটা একটা সন্দেহ মাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার হাত ১৫ ডিগ্রির কমই বাঁকে

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আলিস আল ইসলাম
হাঁটুতে সার্জারির ধকল কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন বিপিএলের আবিষ্কার আলিস আল ইসলাম। ফিটনেস ফিরে পেতে এ অফ স্পিনার বেশি সময় দিচ্ছেন জিমে। টুকটাক বোলিংও করছেন। অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আগামী সপ্তাহে দেবেন পরীক্ষা। বিসিবি থেকে বৈধতার ছাড়পত্র নিয়ে আলিস তৈরি হতে চান সামনের বিপিএলের জন্য। বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য নাসির আহমেদ বাংলাদেশ 'এ' দলের সঙ্গে আছেন শ্রীলংকা সফরে। দেশে ফিরলে তার অধীনে পরীক্ষা হবে আলিসের। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ১৩ অক্টোবর ঢাকায় ফিরবে 'এ' দল। ১৫ তারিখ মিরপুরের একাডেমি মাঠে হতে পারে আলিসের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা। আলিসের উত্থান-পতনের গল্পটা সবারই জানা। ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার থেকে বিপিএল-অভিষেকে লিখে ফেলেন হ্যাটট্রিকের গৌরবকাব্য। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪ উইকেট তুলে হারিয়ে দেন রংপুর রাইডার্সকে। ওই ম্যাচ ঘিরেই আবার নেমে আসে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তীর। দুই ম্যাচ পরই হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় ছিটকে যান বিপিএল থেকে। ক্রিকেট থেকে দূরে চলে যান দীর্ঘ সময়ের জন্য। মুদ্রার দুটি পিঠই আলিসের দেখা হয়ে গেছে ক্যারিয়ারের শুরুতেই। এতসব ঘটনা ঘটে যায় যে সপ্তাহখানেকের মধ্যে। জানুয়ারিতে চোট পাওয়া আলিসের হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয় মার্চে। ঢাকা ডায়নামাইটসের খরচে ভারতে হয় সফল অস্ত্রোপচার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা এ ক্রিকেটার একদিন করে বিরতি দিয়ে আসছেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমে। তার আগে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করেছেন ফিটনেস ও বোলিং নিয়ে। চোটে পড়ায় বিপিএল চলাকালীন সময়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে পারেননি আলিস। সুস্থ হয়ে ওঠায় মনে করছেন এখনই উপযুক্ত সময়। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার চেয়ে অবশ্য ফিটনেস নিয়েই বেশি ভাবছেন তিনি। দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকায় বেড়ে গেছে ওজন। নিজেকে সম্পূর্ণ ফিট করে ডিসেম্বরে বিপিএলের মঞ্চে নামার অপেক্ষায় ২২ বছর বয়সি স্পিনার, 'এখনও শতভাগ ফিট নই। ৮০ ভাগ ফিট বলতে পারেন। বোলিংটা অল্প করছি। ডিসেম্বরে বিপিএল। তার আগে শতভাগ ফিট হয়ে ওঠাই আমার চ্যালেঞ্জ। বোলিং অ্যাকশনের যে ব্যাপারটা সেটা একটা সন্দেহ মাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার হাত ১৫ ডিগ্রির কমই বাঁকে। ঘরোয়া লিগ খেলার সময় বিসিবির কাছে নিজ থেকেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম, সেটা আমার ক্যারম ডেলিভারির জন্য। ওখানে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত ভেঙেছিল। আশা করি আবার পরীক্ষা দিলে সেটি সর্বোচ্চ ১০ ডিগ্রির বেশি হবে না।'