আজ জিতলেই ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ অনূর্ধ্ব ১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে উজ্জীবিত বঙ্গকন্যারা। ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুপুর ৩টায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে জয় পেলেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। একই দিনে সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের মুখোমুখি হবে ভুটান। গত আসরে অল্পের জন্য শিরোপাটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার প্রায় নতুন একটা দল নিয়েই শিরোপা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন কোচ ছোটন। প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এবারের আসরে চার দলের মধ্যে গ্রম্নপের সেরা দুই দল খেলার সুযোগ পাবে ফাইনালে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতও নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে। তারা নেপালকে হারিয়েছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। বাংলাদেশের সমান তিন পয়েন্ট নিয়েও গোল গড়ে এগিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রানার্সআপ বাংলাদেশ আছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম ম্যাচে জয় না পাওয়াতে পয়েন্টশূন্য ভুটান আছে তৃতীয় স্থানে। নেপালেরও কোনো পয়েন্ট নেই, তবে তারা যেহেতু গোল বেশি হজম করেছে তাই সর্বনিম্ন অবস্থানটি তাদের জন্য। গত আসরেও গ্রম্নপ পর্বে নেপালের সঙ্গে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। ওই ম্যাচে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। প্রথম আসরটিও হয়েছিল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। নিজেদের ঘরে নেপালকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বঙ্গকন্যারা। তাই অতীত পরিস্যংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য সহজ প্রতিপক্ষই নেপাল। তবে যেহেতু বয়সভিত্তিক দল। তাই বাংলাদেশ দলের গত দুই আসরের বেশিরভাগ ফুটবলারই বয়সের কারণে বাদ পড়ে গেছেন। সুযোগ পেয়েছেন নতুনরা। এই মেয়েদের নিয়েই প্রথম ম্যাচে ভালো ফুটবল উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এবারের আসরে বাংলাদেশ গ্রম্নপের শেষ ম্যাচটি খেলবে আগামী ১৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে। অর্থাৎ গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে লড়াই হবে রানার্সআপ দলটির। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামী ১৫ অক্টোবর গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপ দলের মধ্যে। মেয়েদের বয়সভিত্তিক এই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। নিজেদের ঘরে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হলেও পরের আসরে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।