জার্মানিকে রুখে দিল আর্জেন্টিনা

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে বুধবার জার্মানির বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার লুকাস আলাবারিওয়ের লক্ষ্যভেদে ম্যাচে ফেরে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিওনেল স্কালোনির দল -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে ছিলেন না লিওনেল মেসি। ছিলেন না অভিজ্ঞ সার্জিও আগুয়েরো ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াও। তাইতো প্রথমার্ধে বেশ অগোছালো ছিল আর্জেন্টিনা। আর সে সুযোগে শুরুর ২২ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল করে বুধবার রাতের প্রীতি ম্যাচে এগিয়ে যায় জার্মানি। বিরতির পর অবশ্য উল্টে গেল পাশার দান। উল্টো স্বাগতিক জার্মানিকে চেপে ধরল আর্জেন্টিনা। লুকাস আলারিও ও লুকাস ওকামপোসের লক্ষ্যভেদে জার্মানির মাঠ থেকে ২-২ গোলের স্বস্তির এক ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল লিওনেল স্কালোনির দল। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রীতি ম্যাচটিতে চোটের কারণে জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো অনেকটা বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় সারির দল নামায়। যদিও চোট জর্জরিত স্বাগতিকরা এক দলে পরিণত হলেও তাদের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে তা বোঝার উপায় ছিল না। বিপরীতে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার আক্রমণে ছিল না তেমন ধার। বিরতির পর পাল্টে যায় চিত্র; লক্ষ্যে তিনটি শট রেখে তারা দুটিতে আদায় করে নেয় গোল। চলতি মাসের শুরুতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টটেনহাম হটস্পারের জালে বায়ার্ন মিউনিখের গোল উৎসবে একা চার গোল করা সের্গে জিনারিই আর্জেন্টিনার বুকে প্রথম আঘাত হানেন। পঞ্চদশ মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে দলকে এগিয়ে দেন এই মিডফিল্ডার। তবে এর আগের মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত তারা। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন ইউলিয়ান ব্রান্ডট। তবে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন এই মিডফিল্ডার। কিছুক্ষণ পরেই দলকে আনন্দে ভাসান জিনারি। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ডিফেন্ডারদের ঘিরে থাকা অবস্থায় এক টোকায় সামনে বাড়িয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জিনারির এটি দশম গোল। আর ২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। মাঝমাঠে মার্কোস রোহোর ভুলে বল ধরে লুকাস ক্লোসতামান অনেকখানি ছুটে ডান দিকে জিনারিকে পাস দেন। আর তিনি বাড়ান ছোট ডি-বক্সের মুখে কাই হাভার্টসকে। অনায়াসে বাকিটা সারেন তরুণ এই মিডফিল্ডার। জাতীয় দলের হয়ে এটা তার প্রথম গোল। ৩১তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। ২৫ গজ দূর থেকে লিপজিগের লেফট-ব্যাক মার্সেলের দারুণ ফ্রি-কিক ক্রসবারে বাধা পায়। দুই মিনিট পর অবশ্য পোস্টে বল লাগার হতাশায় ডোবে অতিথিরা। প্রায় ২৪ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলের অতর্কিত জোরালো শট দূরের পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে আবারও প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় জার্মানি। তবে এবার গোলরক্ষককে একা পেয়ে দুর্বল শটে সুযোগ হারান এমরে কান। ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরে আর্জেন্টিনা। বাঁ দিক থেকে মার্কোস আকুনার ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান বায়ার লেভারকুসেনের ফরোয়ার্ড লুকাস আলারিও। এরচার মিনিট পর লেয়ান্দ্রো পারেদেসের দূরপালস্নার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান জার্মানির গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্যবধান ধরে রাখতে পারেননি বার্সেলোনার এই গোলরক্ষক। ৮৫তম মিনিটে দারুণ গোছানো আক্রমণে সমতা টানে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সে আলারিওর ছোট করে বাড়ানো বল পেয়ে জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শট নেন সেভিয়া মিডফিল্ডার ওকামপোস। বল এমরে কানের শরীর ছুঁয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে নেই মেসি। গত কোপা আমেরিকার পর থেকে দলের বাইরে আছেন ডি মারিয়া ও সার্জিও আগুয়েরো। তিন তারকার অনুপস্থিতিতে খেলতে নেমে কোণঠাসা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের সমতুল্য এক ড্রয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।