সিপিএলের শিরোপা সাকিবদের

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে ওঠার পথে টানা ১১ ম্যাচ জিতেছিল গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। তিনবারের দেখায় প্রতিবারই তারা হারিয়েছিল শিরোপার লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। কিন্তু মূল মঞ্চে পাল্টে গেল চিত্র। শনিবার রাতে গায়ানাকে আসরের প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে সিপিএলের শিরোপা জিতে নিল সাকিব আল হাসানের বার্বাডোজ। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে শোয়েব মালিকের গায়ানার বিপক্ষে ২৭ রানে জিতেছে জেসন হোল্ডারের বার্বাডোজ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বার্বাডোজ। লক্ষ্য তাড়ায় পুরো ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে থামে গায়ানা। যদিও ব্যাট হাতে খুব বেশি করতে পারলেন না সাকিব। ভালো হলো না বোলিংও। তবে এতে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি বার্বাডোজের। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি২০ এর আসর সিপিএলে বার্বাডোজের দ্বিতীয় শিরোপা এটি। এর আগে ২০১৪ সালে এই গায়ানাকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। অন্যদিকে, আরও একবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো গায়ানাকে। সিপিএলের সাত আসরের পাঁচটিতে ফাইনাল খেললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনোবারই শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব ব্যাটে-বলে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। তিনি নিষ্প্রভ থাকলেও জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্বাডোজ। শুরুতে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ১ চারে ১৫ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। পরে বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি। ২ ওভারে ১৮ রান খরচায় থাকেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয়বারের মতো সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ দলনেতা সাকিব। এর আগে ২০১৬ সালে জ্যামাইকা তালওয়াহসের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। সে আসরের ফাইনালেও সাকিবদের প্রতিপক্ষ ছিল গায়ানা।