বিশ্বকাপ বাছাই দ্বিতীয়পর্ব

পরের ম্যাচে আরও ভয়ঙ্কর হবেন জামালরা

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ পেয়েও শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় জামাল ভুইয়াদের। ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার মুহূর্তে বাংলাদেশ অধিনায়ক -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া প্রতিবেদক বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেই চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ঘরের মাঠে কাতারের বিপক্ষে ভালো খেলেও জয় না পেলেও ভারতের বিপক্ষে বলতে গেলে জেতা ম্যাচটাই ড্র করেছেন জামাল-সাদরা। মঙ্গলবার ম্যাচে জয় না পাওয়াতে কিছুটা হতাশ হলেও পরবর্তী ম্যাচে শিষ্যরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন বলে আগাম বার্তা দিলেন কোচ জেমি ডে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে এমন পারফরম্যান্স বাংলাদেশ আগে কখনো করেছে কিনা সন্দেহ। এবারের তারুণ্যনির্ভর দলটি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের কোচ। শুরু থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন শিষ্যদের দারুণ পারফরম্যান্সে। ভারত মিশন শেষ। এবার সময় এসেছে পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে ভাবার। আগামী ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান। অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ওমানের আল শিব স্টেডিয়ামে। ২০১৯ সালে এটিই হবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। এরপরের ম্যাচগুলো হবে আগামী বছর। বাছাই পর্বে প্রথম ম্যাচটি তাজিকিস্তানের দোশানবেতে খেলেছিল লাল-সবুজরা। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান। ওই ম্যাচে ভালো ফল করার প্রত্যাশা থাকলেও ১-০ গোলের হার নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কিন্তু হতাশ হননি জেমি'ডে। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ যেখানে বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। সেই শক্তিধর দলের বিপক্ষেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার কথায় অনেকে মুখ টিপে হেসেছিল। কিন্তু যখন মাঠে জীবন-জামালরা দেখিয়ে দিলেন কাতারের মতো দলের বিপক্ষেও লড়ার সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ। তখন বিস্মিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর গ্যালারির প্রায় ২৫ হাজার দর্শক। যে ম্যাচটা কিনা ৫-৬ গোলে হারবে বাংলাদেশ- এমন ধারণা নিয়েই সবাই গ্যালারিতে এসেছিল। সেই ম্যাচেই জামালরা প্রায় পুরোটাই মাত্র ১-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে লড়াই করেছিলেন। গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। ইনজুরি টাইমে আরেকটি গোল হজম না করলে আর গোলের সুযোগগুলোর দু-একটা কাজে লাগাতে পারলেই সেদিন বদলে যেতে পারত ম্যাচের ফলাফল। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হারলেও আবারও ভারতের বিপক্ষে ভালো কিছু করার আত্মবিশ্বাস দেখান জেমি'ডে। সল্টলেক স্টেডিয়ামে লাখো ভারতীয় সমর্থকের চাপে হয়তো বা পা কাঁপবে সাদ-রায়হানদের। ম্যাচের আগে এমন চিন্তা যে বাংলাদেশি সমর্থকদের মাথায় আসেনি সেটি বলা যাবে না। কিন্তু জেমির হাতে এ যে এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দল, সেটি আবারও প্রমাণ করেছেন তার শিষ্যরা। প্রতিপক্ষের মাঠে লাখো সমর্থকদের চাপ উতরে গোল করে উল্টো নিজেরাই ম্যাচে লিডে ছিলেন। এবারও সেই শেষ দিকে এসে গোল হজম করা! হয়তো এ বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে কোচ জেমি'ডের। কারণ এটি বাংলাদেশের পুরনো সমস্যা। ম্যাচের শেষ দিকে এসে মনযোগ হারানো। বা ক্লান্ত হয়ে গোল রিসিভ করা। জেমিও জানালেন এই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছেন। উন্নতিও হচ্ছে। তবে আরও কিছুটা সময় দরকার তার। \হশেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হবার দুই মিনিট আগে (৮৮ মিনিটে) বাংলাদেশের জালে বল পাঠিয়ে (১-১) গোলের ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে কোনোমতে নিজেদের মান রক্ষা করেছে ভারত। যদিও প্রায় জেতা ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর বেদনাটা আছে। তবুও কোচ জেমি'ডে কিন্তু শিষ্যদের প্রশংসাই করেছেন, 'ছেলেদের সামর্থ্য নিয়ে আমার কখনোই সংশয় ছিল না। দিনে দিনে ওরা আরও পরিণত হচ্ছে। জিততে পারলে দারুণ হতো তবে এই ড্র'য়ে আমি অসন্তুষ্ট নই। ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে এই ড্র আমাদের জন্য জয়ের সমান।' সব ভুলে এখন সামনের ম্যাচের দিকেই তাকাচ্ছেন বাংলাদেশের কোচ। প্রতিপক্ষ দলকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন পরবর্তী ম্যাচে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তার শিষ্যরা।