ফুটবলারদের বন্দনায় মাশরাফি-মুশফিক

ফুটবলারদের পারফরম্যান্স আর সব বাংলাদেশির মতো ছুঁয়ে গেছে ক্রিকেটারদেরও। জিতে নিয়েছে হৃদয়। মোক্ষম সুযোগ পেয়েও ভারতকে হারাতে না পারার আক্ষেপ কিছুটা থাকলেও জামাল-সাদদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত মাশরাফি বিন মর্তুজা-মুশফিকুর রহিমরা

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক আট বছর আগের ঘটনা। ২০১১ সালের ৩ জুলাই। ২০১৪ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের প্রাক বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানের মাঠে বাংলাদেশ। লাহোরে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। তার আগে ঢাকায় প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে পা রেখেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে বাংলাদেশের 'হার এড়ানো'র সবশেষ নজির এতদিন ছিল লাহোরের ম্যাচটিই। সেই পরিসংখ্যান পাল্টে গেছে গত মঙ্গলবার। কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে (যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে) অসাধারণ খেলে স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। তাতে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে পয়েন্টের খাতা খুলেছে জেমি ডের শিষ্যরা। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে নৈপুণ্য দেখিয়েছে, তার সঙ্গে 'হার এড়ানো' কোনোভাবেই খাপ খায় না। বরং বলতে হয় উল্টোটা, জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতই কোনোক্রমে হার এড়িয়েছে। বাংলাদেশ হয়েছে জয়বঞ্চিত। সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স আর সব বাংলাদেশির মতো ছুঁয়ে গেছে ক্রিকেটারদেরকেও। জিতে নিয়েছে হৃদয়। মোক্ষম সুযোগ পেয়েও ভারতকে হারাতে না পারার আক্ষেপ কিছুটা থাকলেও জামাল-সাদদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত মাশরাফি বিন মর্তুজা-মুশফিকুর রহিমরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের দলনেতা মাশরাফি লিখেছেন, 'ছেলেরা দারুণ খেলেছে। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করতে হলেও আমি গর্বিত। আমাদের মাথা উঁচু রাখা উচিত। আগামী ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি।' উত্তেজনা ছড়ানো খেলায় জামাল ভুইয়ার দারুণ ফ্রি কিক থেকে গোল করে ৪১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন সাদউদ্দিন। এরপর শেষদিকে গোল খেলেও লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদিন আসছে। তাইতো জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক তারকা মুশফিকুর রহিমের মুখেও জামালদের বন্দনা। বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও ফেসবুকে লিখেছেন, 'ছেলেদের কপাল মন্দ। তবে যে চেষ্টা ও একাগ্রতা তারা দেখিয়েছে, তাতে আমি গর্বিত। আগামীবার হবে ইনশাআলস্নাহ। সবসময় পাশে আছি।' শক্তি, সামর্থ্য, অতীত রেকর্ড আর ফিফা র?্যাঙ্কিং- সবখানেই বাংলাদেশের চেয়ে ঢের ব্যবধানে এগিয়েছিল ভারত। তার ওপর ম্যাচটাও ছিল তাদের আঙিনায়। কিন্তু মাঠে যে ফুটবল দেখা গেছে, সেখানে জয়জয়কার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ভাগ্যটা যে সঙ্গে ছিল না! তা না হলে কী আর সেরা সুযোগগুলো তৈরি করেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়! ৪২তম মিনিটে ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। লিড তারা ধরেও রেখেছিল ম্যাচের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত। কিন্তু ৮৮তম মিনিটে ভারতের আদিল খান দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করলে জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায় বাংলাদেশের।