সাইফের ডাবল সেঞ্চুরি ইমরুলের আক্ষেপ

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শ্রীলংকা সফরে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন সাইফ হাসান। এরপর থেকেই এই ব্যাটসম্যানের ওপর বাড়তি নজর নির্বাচকদের। এনসিএলের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই প্রমাণ করেছেন ধারাবাহিকতা। শতককে রূপান্তর করেছেন ডাবল শতকে -বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক কদিন আগে শ্রীলংকা সফর শেষে দেশে ফিরে সাইফ হাসান বলছিলেন, জাতীয় দলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। সামনেই ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। দুই টেস্ট ও তিনটি টি২০ ম্যাচ রয়েছে এই সফরে। ঘোষণা হয়েছে টি২০ সিরিজের দলও। এই দলে সাইফের জায়গা না হলেও টেস্ট দলে হয়তো টিকে যাবেন শেষ পর্যন্ত। তারই একটা আভাস দিয়ে রাখলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথমদিনেই ১২০ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। সেরে উঠে দ্বিতীয় দিন নেমে আরও দুর্বার সাইফ হাসানের ব্যাট। দারুণ ছন্দে থাকা এই তরুণ প্রথম শ্রেণিতে পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। আগের রাউন্ডে দারুণ ডাবল সেঞ্চুরি করা ইমরুল কায়েস সেরা ছন্দে থাকার প্রমাণ দিলেন আবারও। পরপর আরেকটি সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে থেমেছেন ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে। তবু রাজশাহীর বিপক্ষে লিড নেওয়ার পথে আছে তার দল খুলনা। শুক্রবার চট্টগ্রামের মাঠে প্রথম স্তরের ম্যাচে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে সাইফ অপরাজিত থাকেন ২২০ রান করে। সাইফের ব্যাটে চড়ে ৮ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ঢাকা বিভাগ। নাইটওয়াচম্যান সুমন খানকে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলেন শুভাগত হোম। সুমন দ্রম্নত ফিরে গেলেই ফের নামেন সাইফ। শুভাগতও টেকেননি বেশিক্ষণ। এরপর অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরীকে নিয়ে শতরানের জুটি পান সাইফ। জুটিতে আগ্রাসী ছিলেন নাদিফই। ৭৫ বলে ৬১ রান করে নাদিফ ফেরার পর জয়রাজ শেখকে নিয়েও এগিয়ে যান সাইফ। সঞ্জিত সাহার স্পিনে জয়রাজ ফিরলে নাজমুল ইসলামকে একপাশে রেখে রান বাড়ান সাইফ। ৩২৯ বলের ইনিংসে ১৯ চার আর ৪ ছক্কায় সাইফ ২২০ রানে পৌঁছার পর আসে ইনিংস ঘোষণা। সম্প্রতি শ্রীলংকা 'এ' দলের বিপক্ষে সিরিজ জেতানো সেঞ্চুরি করা সাইফ ভারত সফরের বাংলাদেশ টেস্ট দল ঘোষণার আগে নিজের ডাক পাওয়ার দাবি করলেন জোরাল। ঢাকার জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। হামিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসানরা রান না পেলেও লিটন কুমার দাস আছেন ছন্দে। আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে ফিফটি করে ফেলেছেন তিনি। দিনশেষে ২ উইকেটে ৭১ রান তুলেছে রংপুর। ৬৪ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত আছেন লিটন। সঙ্গী নাঈম ইসলাম অপরাজিত আছেন ৮ রানে। খুলনা শেখ আবু নাসের চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে ২৬১ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। জবাবে ৬ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে খুলনা। রাজশাহী থেকে পিছিয়ে আছে ৩৪ রানে। দীর্ঘদিন ধরে অফফর্মে থাকা সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারেননি। ৫ বল খেলে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের ওপেনার। তবে সৌম্যকে ওপেনিংয়ে সুযোগ করে দেয়া ইমরুল তিন নম্বরে নেমে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে মিলে প্রথম প্রতিরোধ গড়েন ইমরুল। ৭৫ রানের জুটির পর ৩৪ করে ফিরে যান বিজয়। এরপর অভিজ্ঞ তুষার জমে যান ইমরুলের সঙ্গে। দুজনে মিলে থিতু অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছিলেন খুলনাকে। ১৬৭ রানে ইমরুল রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে ৮৫ রানের জুটি। আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা ইমরুল এবারও ব্যাটে রান ফোয়ারা বইয়ে ভারত সফরের টেস্ট দলে থাকার দাবি জোরাল করেছেন। সঙ্গী বিচ্ছেদের পর থিতু হওয়া তুষারও ফেরেন খানিক পর। ১৪৩ বলে ৪৩ রান করে দৌড় থামান শেষবার জাতীয় লিগে নামা তুষার। রাজশাহীর হয়ে শফিউল ইসলাম আর তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। দিনশেষে অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক ৭ ও সোহান ৩৪ রান নিয়ে খেলছেন। বগুড়ায় দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর ২৪৬ রানের জবাবে ৩১৯ রান করে ৭৩ রানের লিড নেয় সিলেট। ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংসে নাঈম শেখ আর রাকিন আহমেদ মিলে ৯ রান তুলে শেষ করেছেন দিন। ওপেনার তৌফিক খানের (৬১) ফিফটির পর দলের হাল ধরলেন জাকির হাসান (৭১)। তিনি সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করে ফেরার পর অভিজ্ঞ অলক কাপালী (৫৪) আর তরুণ জাকের আলি অনিকের (৭১) আরও দুই ফিফটিতে সিলেট অনায়াসে পেরিয়ে যায় ঢাকা মেট্রোর রান। তবে সিলেটের আরও বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা নষ্ট করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবু হায়দার রনি। ফতুলস্না স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের ৩৫৬ রানের ইনিংসের পর বরিশাল ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করেছে। ২৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল চট্টগ্রাম।