টেস্টের অধিনায়ক আজহার, টি২০তে বাবর

পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব হারালেন সরফরাজ

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সরফরাজ আহমেদ
ক্রীড়া ডেস্ক সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্ব নিয়ে গেল কয়েক মাস ধরে সমালোচনা কম হচ্ছিল না। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ চলাকালে তীর্যক বাক্যবাণের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানের দলনেতা। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে দলটির অনেক সাবেক তারকাই তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সবশেষ শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে দেশের মাটিতে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সমালোচনার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তাতে ধারণা করা হচ্ছিল, সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে সরফরাজের জন্য। অবশেষে সত্যি হয়েছে গুঞ্জন। পাকিস্তানের টেস্ট ও টি২০ দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সরফরাজকে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেস্ট দলের নতুন নেতা আজহার আলি। আর টি২০ দলকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। অধিনায়কের পদ হারানোর পাশাপাশি এই দুই ফরম্যাটের পাকিস্তান দলেও জায়গা পাচ্ছেন না সরফরাজ। ৩২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গেল কয়েকটি সিরিজে সরফরাজের পারফরম্যান্সের সামগ্রিক অবনতি ঘটেছে। এতে তার আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরেছে। ফলে তার পরিবর্তে নতুন নেতা বেছে নিয়েছে পিসিবি। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য কোনো অধিনায়কের নাম এখনো ঘোষণা করেনি তারা। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক কে হবেন- সেই সিদ্ধান্ত পরের বোর্ড মিটিংয়ের পর জানানো হবে। দুই দলের সহ-অধিনায়কের নামও জানা যাবে তখন। আগামী বছর জুলাইয়ের আগে পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই। সেকারণে এই ফরম্যাটের দলনেতা নির্বাচন করতে আরও সময় নেবে দেশটির বোর্ড। অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। তিনি বলেছেন, 'সরফরাজকে বাদ দেওয়াটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। সে খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে দারুণ পারফর্ম করেছে। কিন্তু তার ফর্ম ও আত্মবিশ্বাস যে হারিয়ে গেছে, সেটা স্পষ্ট। তাই দলের স্বার্থে তাকে বাইরে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা অবস্থায় সে যেন বিষয়গুলো অনুধাবন করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে এবং ফর্মে ফেরার চেষ্টা করে, সেজন্য তাকে সহায়তা করা হবে।' ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হওয়া আজহারকে টেস্ট ব্যাটিং লাইনআপে ইউনিস খান ও মিসবাহ-উল হকের পর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়। ৭৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১৫ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফসেঞ্চুরিতে ৫,৬৬৯ করেছেন আজহার। চলতি কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতেও দারুণ ফর্মে আছেন। চার ম্যাচে ৩৮৮ রান নিয়ে সবার উপরেই তার নাম। অন্যদিকে টি২০র্ যাংকিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমের আগেও অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন। সর্বশেষ শ্রীলংকা সিরিজেও দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিভাবান এ ব্যাটসম্যান। যেখানে দুদিন আগেই ৫৯ বলে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের আগামী সফরে টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক থাকবেন আজহার। পাশাপাশি ২০১৯-২০ মৌসুমের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বাবরও অসিদের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি২০ বিশ্বকাপেও তার ওপর আস্থা রাখবে পাকিস্তান বোর্ড।