শুরুতেই মারিয়াদের সামনে পাকিস্তান

দলের সবাই প্রস্তুত আছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য। ভালো খেলে শিরোপা ধরে রাখা। আমরা একটা দল হয়ে খেলতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই যেন শুরুটা ভালো দিয়েই করতে পারি Ñমারিয়া মান্দা

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ অনূধ্বর্-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের বতর্মান শিরোপাধারী বাংলাদেশ। এবার তারা ভুটান গেছে সেই শিরোপা অক্ষুণœ রাখার মিশনে। চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে মারিয়া মান্দার দলের সেই মিশন শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ শক্তিধর পাকিস্তান। সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। দলীয় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, ম্যাচের জন্য প্রস্তুত আছে তার শিষ্যরা। সফল এই কোচ আরও একবার জানিয়ে দিলেন, শিরোপা ধরে রাখাই একমাত্র লক্ষ্য তার দলের। লক্ষ্য পূরণে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চান তিনি। কথায় আছে- কোনোকিছু অজের্নর থেকে তা রক্ষা করা কঠিন। সেই কঠিনের সামনেই এখন বাংলাদেশ অনূধ্বর্-১৫ দলের মেয়েরা। তারা আসরের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ওপর প্রত্যাশার চাপটাও অনেক বেশি। সেখানে অনূধ্বর্-১৫ পযাের্য় পাকিস্তান একেবারেই অচেনা প্রতিপক্ষ। সে যাই হোক, বাড়তি কোনো চাপ মাথায় নিতে নারাজ মারিয়ার দল। নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চায় টিম বাংলাদেশ। অনূধ্বর্-১৫ পযাের্য় প্রথম হলেও মেয়েদের সিনিয়র দল একাধিকবার খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাই কিছুটা ধারণা আছে। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতে চায় না গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। প্রতিপক্ষ কে বা কতটা শক্তিধর সেটি না ভেবে একটা দল হিসেবে নিজেদের সেরাটা উপহার দেয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্য পূরণের পথে ভুটানের ঠাÐা আবহাওয়াকে বড় বাধা মনে করা হচ্ছিল। তবে মারিয়া-তহুরারা ঠাÐার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। আর তাই স্বস্তি ফিরেছে লাল-সবুজ শিবিরে। এখন মাঠের লড়াইয়ে নামতে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আমরা সাফে খেলব, সেটি আগে থেকেই জানা ছিল। তাই সাফ জয়ের পরই আমরা দ্বিতীয় সাফের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেই। মেয়েরা কঠোর অনুশীলন করেছে। প্রতিপক্ষ যেই হোক শিরোপা ধরে রাখতে হলে আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে হবে। সেটি মাথায় রেখেই কোনো চাপ না নিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা যদি মেয়েরা খেলতে পারে, তাহলে ভালো কিছুই হবে আশা করছি।’ গত কয়েক বছরে মেয়েরা এনে দিয়েছে ধারাবাহিক সাফল্য। অনূধ্বর্-১৫ সাফের প্রায় পুরো টিমেরই অভিজ্ঞতা আছে এর আগে সাফে খেলার। গত আসরে দুই গোল করে শিরোপা জয়ের পেছনে অবদান রাখা আখি খাতুন পেয়েছিলেন সেরা ফুটবলারের তকমা। আজকের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে নিজের দলকে আগলে রাখতে চান। এরপর সুযোগ পেলে আক্রমণে যেতে চান অলরাউন্ডারের খেতাব পাওয়া এই ডিফেন্ডার। পিছিয়ে নেই নতুনরাও। ইলা মনি, শাহেদা আক্তার রিপা, রেহেনা আক্তার, রোজিনা আক্তার, নোশন জাহানদের জন্য চাংলিমিথানের সাফ মিশনটা একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। তবে নতুন হলেও ভুটানে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে অবদান রাখতে দৃঢ় প্রত্যয়ী তারা। রিপা বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর এই ম্যাচটা জয় দিয়েই শুরু করতে চাই। সাফের প্রতিটি ম্যাচে আমি গোল করতে চাই। এবং আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ জিততে পারব। কারণ আমরা পল এবং ছোটন স্যারের অধীনে খুব ভালো অনুশীলন করেছি।’ প্রস্তুতি ভালো হলেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ঘাটতি নিয়েই আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট এটাকে কোনো প্রতিবন্ধকতাই মনে করছে না। দলীয় অধিনায়ক মারিয়া মান্দাও বেশ আত্মবিশ্বাসী। তার বিশ্বাস, নিজেদের সামথর্্য অনুযায়ী পারফমর্ করতে পারলে আসরে ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। জানিয়ে দিলেন, যেকোনো চ্যালেঞ্জের জন্যই প্রস্তুত তার দল, ‘দলের সবাই প্রস্তুত আছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য। ভালো খেলে শিরোপা ধরে রাখা। আমরা একটা দল হয়ে খেলতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই যেন শুরুটা ভালো দিয়েই করতে পারি।’ মাত্র ৮ মাস আগে ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অজর্ন করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনটা এখন ভুটানে। গ্রæপে মেয়েরা খেলবে মাত্র দুটি ম্যাচ। তাই বলা চলে মিশনটা খুব কঠিন হবে না বাংলাদেশের জন্য। গ্রæপে পাকিস্তান এবং নেপালের বিপক্ষে ভালো ফল আসলে শেষ চারে খেলার সুযোগ মিলবে।