লিটনের পর নাঈমের সেঞ্চুরি

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে ভালো কিছু করতে পারেননি। জাতীয় লিগে রংপুরের হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নেমেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন লিটন দাস। নাইম ইসলামও এদিন শতকের দেখা পেয়েছেন -বিসিবি
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে যাওয়ায় জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ছিলেন না লিটন দাস। সিপিএল থেকে ফিরে সাময়িক ছুটি কাটিয়ে ফেরাটা তার হয়েছে রাজকীয়। স্বভাবসুলভ দাপুটে ব্যাট চালিয়ে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। লিটন দাসের সঙ্গে ১৩০ রানের জুটিতে পার্শ্ব ভূমিকায় ছিলেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম। সেঞ্চুরি তুলে লিটন ফেরার পর মূল ভূমিকায় নিজেকে নিয়ে আসেন তিনি। চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় প্রথম শ্রেণিতে আরেকটি সেঞ্চুরি করে ঢাকার রান পাহাড়ের জবাব দিচ্ছেন তিনি। বগুড়ার মাঠে ঢাকা মেট্রোকে ম্যাচে রাখল মাহমুদউলস্নাহর লড়াই। প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ে ৬৩ রানের দারুণ এক ফিফটিতে ঢাকা মেট্রোকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ছাড়িয়ে গেলেন আগের লড়াইকে। অপরাজিত ৯৫ রানের ইনিংসে সিলেটের বিপক্ষে মেট্রোকে ম্যাচে রেখেছেন মিডলঅর্ডারের ভরসা। ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য যেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। আগেরদিনই রান পাহাড়ে পা রাখে ঢাকা বিভাগ। জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে জবাব দিতে নেমে কম যাচ্ছে না রংপুরের ব্যাটসম্যানরাও। তার পথ ধরে ড্রয়ের পথে চারদিনের এই ম্যাচ। ঢাকার ৫৫৬ রানের পাহাড়ের জবাবে শনিবার তৃতীয়দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে রংপুর বিভাগ। ১২২ করে লিটন আউট হওয়ার পর ২৯৬ বলে ১২৪ করে অপরাজিত আছেন নাঈম। প্রথম শ্রেণিতে এটি তার ২৭তম সেঞ্চুরি। সঙ্গী তানবীর হায়দার আছেন ৫২ রানে। আগেরদিন শুক্রবার ফিফটি তুলে এদিন সকালেই আরো দুর্বার হয়ে উঠে লিটনের ব্যাট। নাঈমকে পাশে নিয়ে দ্রম্নত রান বাড়াতে থাকেন তিনি। লাঞ্চের আগেই পৌঁছেন যান সেঞ্চুরিতে। লাঞ্চের পর ১৮৯ বলে ১৪ রানে থমান ১২২ রানের ইনিংস। লিটন ফেরার পর নাসির হোসেন ফেরেন দ্রম্নত। রংপুর অধিনায়ক আরেকবার ব্যর্থ হয়ে আউট হয়েছেন মাত্র ১ রান করে। নাঈমের সঙ্গে ৩৪ রানের আরেকটি জুটির অর আরিফুল হক আউট হয়ে যান ১৭ রান করে। তবে অভিজ্ঞ নাঈমের সঙ্গে মিলে দলকে বিপদে পড়তে দেননি তানবীর। ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন দুজন। বগুড়ায় জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৪৬ তুলেছিল ঢাকা মেট্রো। সিলেট বিভাগ প্রথম ইনিংসে ৩১৯ তুলে ৭৩ রানের লিড নেয়। শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে মেট্রো। মাহমুদউলস্নাহ ত্রাতার ভূমিকায় লড়াই জমিয়ে দেন। ৬ উইকেটে ২২৫ তুলে তৃতীয়দিন শেষ করেছে দলটি। ৪ উইকেট হাতে রেখে সিলেটের চেয়ে ১৫২ রানে এগিয়ে তারা। এই লিড আরও বড় করার আশা দিচ্ছেন মাহমুদউলস্নাহ। ৫ চার ও এক ছয়ে ১৯৪ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসে সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে অপরাজিত আছেন। ২৯ রানে থাকা শহীদুল ইসলাম চতুর্থ দিনে তার সঙ্গী হবেন। দুজনে জুটিতে ৬১ তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন। বাকিদের মধ্যে সবাই দুঅঙ্ক ছুঁলেও জাবিদ হোসেনের ২৫ ছাড়া আর কেউ বিশের কোটায় যেতে পারেননি। সিলেটের হয়ে ইমরান আলি ও এনামুল জুনিয়র ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ফতুলস্নায় দ্বিতীয় স্তরের অন্য ম্যাচে ৯ উইকেট হাতে রেখে বরিশালের বিপক্ষে ১৯০ রানের লিড তুলে তৃতীয়দিন শেষ করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান তুলেছিল। বরিশাল বিভাগকে পরে ২১৬ রানে অলআউট করে ১৪০ রানের বড় লিড নেয়। তৃতীয়দিনে ১ উইকেটে ৫০ তুলে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে তারা। নুরুজ্জামানের ৬০ রানে দুইশ পেরোনো সংগ্রহ পায় বরিশাল। আর তাদের দ্রম্নত আটকে দিতে নাঈম হাসান অফস্পিনে ঝড় তুলে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী রানা, নোমান চৌধুরী ও মিনহাজুল আফ্রিদি। খুলনা বিভাগীয় দলকে জাতীয় দল বললে অতু্যক্তি হবেনা। একাদশের এগারোজনের প্রত্যেকেই জাতীয় দলে খেলেছেন বা আশেপাশে আছেন। এমন দলের বিপক্ষে রাজশাহীর ত্রাহি দশায় সুবিধাজনক অবস্থানে খুলনা। চতুর্থদিনে জয়ের জন্য মাত্র ১০৮ রান প্রয়োজন তাদের, হাতে আছে নয় উইকেট। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬১ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। জবাবে দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়ার আগে ৩০৯ রান করে আব্দুর রাজ্জাকের দল। ৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা রাজশাহীকে তৃতীয় দিন দাঁড়াতেই দেয়নি খুলনা। দুই সেশনে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৭০ রান তোলে জহুরুল হকের দল। জয়ের জন্য খুলনার টার্গেট দাঁড়ায় ১২৩ রান। দিনের অল্প সময়ে যেটুকু খেলা হয় তাতে অবশ্য এক উইকেট হারিয়ে ফেলেছে খুলনা। চতুর্থদিন জয়ের জন্য মাত্র ১০৮ রান প্রয়োজন থাকলেও অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।