ডি মারিয়ার নৈপুণ্যে পিএসজির বড় জয়

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ফরাসি লিগ ওয়ানে শুক্রবার নিসের বিপক্ষে গোল করায় এমবাপেকে ঘিরে ডি মারিয়া-ইয়াকার্দির গোল উদযাপন। শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা -ওয়েবসাইট
আগেই চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন নেইমার। শুরুর একাদশে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপে ও এডিসন কাভানি। তাদের অনুপস্থিতি অবশ্য একটুও অনুভব করতে দিলেন না অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। পরে বদলি নেমে জালের দেখা পেলেন এমবাপে। মাউরি ইকার্দিও করলেন গোল। শুক্রবার রাতে ডি মারিয়ার জোড়া লক্ষ্যভেদে ফরাসি লিগ ওয়ানে ৯ জনের নিসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আর লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে গ্রানাডা। বুন্দেসলিগায় বেয়ার লেভারকুসেনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট। এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। নেইমার ও এমবাপে না থাকায় ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটির সবচেয়ে সফল দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ভীষণ ?চাপে ছিল প্যারিসের ক্লাবটি। যদিও ঘরের মাঠের লড়াইয়ে রিয়ালকে পাত্তা না দিয়ে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছিল পিএসজি। সেই দিনের সেই ম্যাচে ডি মারিয়া করেছিলেন জোড়া গোল। শুক্রবার রাতে নিসের ঘরের মাঠের লড়াইয়েও ছিলেন না নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন তিনি। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা এমবাপেও ছিলেন একাদশে। তারপরও প্রথমার্ধ শেষে পিএসজি ২-০ গোলের লিড পায় ডি মারিয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেয় নিস। ৭৪তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ভিলিঁও সিপিয়া। তিন মিনিট পর সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ক্রিস্টোফ। এরপর আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। আলিয়েঞ্জ রিভিয়েরায় ১৫ মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে যায় দি মারিয়ার গোলে। মাউরো ইকার্দির পাস ধরে ফাঁকা মাঠে ক্ষীপ্রগতিতে নিসের বক্সে ঢুকে পড়েন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার ডি মারিয়া। এরপর ঠান্ডা মাথায় স্বাগতিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ?লিড এনে দেন প্যারিসের ক্লাবটিকে। মিনিট ছয়েক পর আবারও গোল উৎসবে মাতেন দি মারিয়া। এবারের গোলটি ছিল আরও চমৎকার। থোমাস মুনিয়েরের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বল শূন্যে ভাসিয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান তিনি। বিরতি থেকে ঘুরে এসে নিস অবশ্য খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দেয় ৬৭ মিনিটে ইগনাতিয়াস গানাগোরর লক্ষ্যভেদে। কিন্তু ৭৪ মিনিটে ভিলিঁও সিপিয়ার পর ৭৭ মিনিটে ক্রিস্টোফ হেরেলি লাল কার্ড দেখলে ৯ জনের দলে পরিণত হয় তারা। বেশি খেলোয়াড় নিয়ে খেলার সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে পিএসজি। বদলি হিসেবে মাঠে নামা এমবাপে ৮৮ মিনিটে নিজে লক্ষ্যভেদ করলে স্কোর লাইন দাঁড়ায় ৩-১। এরপর ৯০তম মিনিটে এমবাপের ডিফেন্স চেরা স্কয়ার পাসে বল জালে জড়িয়ে আনন্দে মাতেন ইকার্দি। আর তাতে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলা নঁতে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।