৬০০ উইকেটের চূড়ায় রাজ্জাক

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে নেমে প্রথম দিনেই ৬০০ উইকেট দখলের কীর্তিটা গড়লেন আবদুর রাজ্জাক - ওয়েবসাইট
ক্রীড়া প্রতিবেদক অনন্য মাইলফলক থেকে ছয় কদম দূরে ছিলেন। জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে নেমে প্রথম দিনেই কীর্তিটা গড়ে ফেললেন আবদুর রাজ্জাক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট শিকারের চূড়া ছুঁয়েছেন খুলনার ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছিলেন রাজ্জাক। সেই তালিকায় আর কেউ নাম লেখানোর আগেই ৬০০-এর ক্লাব খুললেন তিনি। শনিবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে নেমেছে খুলনা। ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ উইকেটটি শিকারের মধ্য দিয়ে মাইলফলকে পা রাখেন রাজ্জাক। শুরু করেছিলেন ওপেনার মেহেদী মারুফকে (২৬) উইকেটের পেছনে সোহানের ক্যাচ বানিয়ে। কীর্তি ছুঁয়েছেন রবিউল হককে বোল্ড করে। জাতীয় লিগের ২১তম আসর শুরুর আগে রাজ্জাকের উইকেট ছিল ৫৮১টি। তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে ছয়শ'র খুব কাছে চলে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলকে একসময় স্পিনে নেতৃত্ব দেয়া রাজ্জাক। ২০০২ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত রাজ্জাক ১০০ উইকেটের দেখা পান ২০০৫ মৌসুমে। ২০০ উইকেট ছুঁতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়, ২০১৩ মৌসুমে। ৩০০ ছুঁতে সময় নেন কেবল এক মৌসুম। বল হাতে অদম্য ছুটে চলা রাজ্জাক ২০১৯ মৌসুমে এসে সেটি করে ফেলেছেন প্রায় দ্বিগুণ। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে রাজ্জাক খেলতে নেমেছেন ১৩২তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ৩৯ বার ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সেরা বোলিং ৮৪ রানে ৯ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ১০ বার। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের দুইজনকে ফেরান রাজ্জাক। তার শিকার হন মেহেদী মারুফ ও নাসির হোসেন (৪০)। এরপর রংপুরের শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে একাই সাজঘরে পাঠান বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক সময়ের এই তারকা। একে একে তার ফাঁদে আটকা পড়েন ধীমান ঘোষ (০), সাজেদুল ইসলাম (০), আরিফুল হক (২৭), রবিউল (৭) ও রিশাদ হোসেন (৪২)। শেষ পর্যন্ত ২৪.১ ওভার বল করে ৬৯ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়ে রংপুরকে ২২৪ রানে অলআউট করে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন রাজ্জাক। জবাবে প্রথম দিনেই ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান করেছে খুলনা। ফলে রংপুর ২০০ রানে এগিয়ে। ইমরুল কায়েস ৬ ও মইনুল ইসলাম ২ রানে ফিরেছেন। এনামুল হক জুনিয়র ১৪ ও তুষার ইমরান ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। রবিউল হক ৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। কক্সবাজারে প্রথম স্তরের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের পক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে রাজশাহী। ঢাকা এক ওভার ব্যাট করলেও কোনো উইকেট হারায়নি, রানও তুলতে পারেনি। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে দুইজনের ব্যাটে, ৫৬ এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছ থেকে। মুক্তার আলিও ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। সানজামুল ইসলাম করে যান ৪৯। ঢাকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সুমন খান ও শুভাগত হোম।