সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্ব জয়ের লক্ষ্যেই ওমান যাচ্ছেন রানারা ক্রীড়া প্রতিবেদক বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী মিশন ওমানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ। আগামী ১৪ নভেম্বর ওমানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ লাল-সবুজদের। সেখানের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে প্রায় দশ দিন আগেই ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ শক্তিধর হলেও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে জেমির শিষ্যরা। ভারত ম্যাচের পরই কোচ জেমি ডে ছুটি কাটাতে নিজের দেশে চলে গেছেন। বাংলাদেশ দল ওমান যাবার পর সেখানে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এই ইংলিশ কোচ। তাই ওমান যাত্রার আগে দল সম্পর্কে জানালেন সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার, 'আমরা যখন যেটা চেয়েছি সেটা তখনই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং ন্যাশনাল টিমস ম্যানেজমেন্ট কমিটি আমাদের সেভাবে সহযোগিতা করেছে। এবারও আমরা সরাসরি ওমানে যাচ্ছি। এবং সেখানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রথম থেকেই যদি ট্রেনিংটা করতে পারি বেশ কয়েকদিন। এবং একটা প্রীতি ম্যাচ যদি খেলতে পারি। আশা করি ওমানের বিপক্ষে ভালো একটা ম্যাচ ছেলেরা উপহার দেবে।' জাতীয় দলের অন্যতম ফুটবলার আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, 'আমরা ভারত ম্যাচের পরে বসুন্ধরা কিংস এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর বাইরে যারা ছিলাম বিশ্রামে ছিলাম। আমাদের কোচের ট্রেনিং প্রোগ্রাম দেয়া ছিল। আমরা ক্যাম্পে যেভাবে খাবারদাবার এবং জিম সেশন করতাম গত ৭-৮ দিন ধরে সেটি পালন করেছি। যাতে আমাদের জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়। সাকিবের অনুপস্থিতি ইতিবাচক: জোনস ক্রীড়া ডেস্ক অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপের আগামী আসর বসতে আর এক বছরও বাকি নেই। তার আগের প্রতিটি সিরিজই দলগুলোর জন্য প্রস্তুতি পর্ব। বিশ্বকাপের জন্য সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করা যেমন জরুরি, তেমনিভাবে জরুরি অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন মাথায় রেখে দলের কম্বিনেশন ঠিক করে নেওয়া। তাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব আল হাসানের না থাকাকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ডিন জোনস। গেল ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শাস্তির প্রথম বছরে আইসিসির বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো মেনে চললে পরের বছর আর সাজা ভোগ করতে হবে না তাকে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোনস বলেছেন, 'আমি জানি বিপিএলের সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে। একই সঙ্গে সাকিব টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে প্রস্তুত থাকবে। তাকে পাওয়া যাবে। কিন্তু মাহমুদউলস্নাহ তার কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার পালা। (দলের কম্বিনেশন ঠিক করতে) নির্বাচকদের ভালো পরিকল্পনা করতে হবে।' সাকিবকে ছাড়া দলের পথচলা শুরু হচ্ছে আসছে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ দিয়ে। সেখানে নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউলস্নাহ। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। টি২০ সিরিজে দলের অভিজ্ঞদের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা রয়েছে এই অজির, 'আমি টি২০ অধিনায়ক মাহমুদউলস্নাহকে আরও উপরের দিকে ব্যাটিং করতে দেখতে চাই। (ব্যাটিং লাইনআপের) উপরের দিকে সৌম্য সরকার ও লিটন দাস আত্মবিশ্বাস পেতে শুরু করেছে। মুস্তাফিজ আগের মতোই ফিট আছে।' বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের শূন্যস্থান অপূরণীয়। একই সঙ্গে ব্যাটে-বলে সমান কার্যকর- এমন খেলোয়াড় গোটা ক্রিকেটবিশ্বেই দুর্লভ।