ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ

টেস্ট সিরিজ নিয়ে আগাম উত্তেজনা

টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি। ম্যাচ দেখতে পাবেন ২৭ হাজার দর্শক। এরমধ্যে ১৬ হাজার টিকিট বরাদ্দ করা হয়েছে সাধারণ দর্শকদের জন্য। যার মধ্যে ৭ হাজার অগ্রিম হিসেবে ছাড়া হয়েছিল।

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ এখনও শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ শুরুর আগে এই সিরিজের ট্রফি নিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ -ওয়েবসাইট
ইন্দোরে ১৪ নভেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেই ম্যাচের টিকিটের জন্য তৈরি হয়েছে বেশ বড় রকমের চাহিদা, চলছে কাড়াকাড়ি। এরইমধ্যে নির্ধারিত ১৬ হাজার টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে ৭ হাজার। মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) মাঠে বসে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচ দেখতে পাবেন ২৭ হাজার দর্শক। এরমধ্যে ১৬ হাজার টিকিট বরাদ্দ করা হয়েছে সাধারণ দর্শকদের জন্য। যার মধ্যে ৭ হাজার অগ্রিম হিসেবে ছাড়া হয়েছিল। ম্যাচের চারদিনের জন্য যার সবগুলো টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি ৯ হাজারের মধ্যে কিছু টিকিট আবারও অগ্রিম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিসিএ। আর বাকি টিকিটগুলো বিক্রি হবে ম্যাচের দিনগুলোতে। ৩১৫ রুপি থেকে শুরু করে ১,৮৪৫ রুপি দাম দিয়ে টিকিট কিনতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২৭ হাজারের মধ্যে বাকি ১১ হাজার টিকিট বণ্টন করে দেয়া হবে সাবেক খেলোয়াড়, বোর্ড প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে। আর ২২ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। এদিকে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়েছে মুমিনুল হক সৌরভকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকলেও মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের মতো তারকাকে ছাপিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের কাঁধে। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার ঘোর না কাটলেও ভারত সিরিজে ইতিবাচক মুমিনুল। ভারতের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে সবই জানা তার। এরপরও টেস্টর্ যাংকিংয়ের এক নম্বরে থাকা বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ভারত যাওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের নতুন টেন্ট অধিনায়কের। দেশের মাটিতে ভারত কতটা শক্তিশালী, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের উড়িয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে স্বাগতিকরা। সেই দলটির বিপক্ষেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। যদিও টেস্টের এক নম্বর দলকে মোটেও ভয় পাচ্ছেন না মুমিনুল। এমনকি ভারত সফরে জয়কেই লক্ষ্য বানিয়েছেন বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক,' প্রত্যাশা একটাই- আমরা যেখানেই যাই জেতার জন্য যাই, ভারতেও যাব জেতার জন্যই। ব্যক্তিগতভাবে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই, সব মিলিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।' হঠাৎ পাওয়া দায়িত্বের ঘোর এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তার কথাতেই তা ফুটে উঠলো, 'কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না, বলতে পারেন পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এটা (অধিনায়কত্ব)। কোনো সময় চিন্তাও করিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হবো কিংবা টেস্ট দলের অধিনায়ক হবো। এমন কিছু স্বপ্নেও ছিল না। যাই হোক পেয়েছি, আলহামদুলিলস্নাহ্‌।' সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় তাকেই কেন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হলো? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য জানা নেই মুমিনুলের, 'কঠিন একটা প্রশ্ন, উত্তর দেওয়াও কঠিন। কারণ এটা তো ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। সত্যি কথা বলতে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।' প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন মুমিনুল, তাও আবার ভারতের মতো টেস্টে এক নম্বর দলের বিপক্ষে। চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক। যদিও এই ব্যাটসম্যানের ভাবনা অন্যরকম, 'কখনোই এভাবে চিন্তা করিনি অধিনায়কত্ব অতিরিক্ত চাপ কিংবা দায়িত্ব। এভাবে চিন্তা করলে বাড়তি চাপ হয়ে যায়। আগে যেভাবে খেলেছি রান করার জন্য, দলের জন্য সেভাবেই এবারও খেলব।' যদিও ঘরের মাঠে টেস্টে অপ্রতিরোধ্য দল হয়ে উঠেছে ভারত। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা। সেই দলটির বিপক্ষে খেলা কতটা চ্যালেঞ্জিং? মুমিনুলের বক্তব্য, 'আমার কাছে মনে হয়, জীবনে যেখানেই ক্রিকেট খেলি, সেটাই চ্যালেঞ্জিং। ভারতে হয়তো সে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি থাকবে। আমাদের সবাইকে সেভাবেই প্রস্তুত হয়ে চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত আছেন। আমিও ওভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।' টি২০ দিয়ে ইতিমধ্যে ভারত সফর শুরু করেছে বাংলাদেশ। দিলিস্নর প্রথম টি২০ জিতে সফরের শুরুটা রাঙিয়ে নিয়েছে সফরকারীরা। ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার গোলাপি বলের ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত। দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে মুখিয়ে আছেন মুমিনুল, 'আমি মনে করি, এটা খুব ভালো একটা সুযোগ। ফ্লাডলাইটে টেস্ট খেলা কিংবা গোলাপি বলে টেস্ট, আমরা এর আগে খেলতে পারিনি। তাই আমার মতে, এটা ভালো একটা সুযোগ আমাদের জন্য। ভালো করতে পারলে দারুণ হবে।'