মালান-মরগান ঝড়ে বিধ্বস্ত কিউইরা

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
শুক্রবার ডেভিড মালান সেঞ্চুরি করায় তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। টি২০তে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছেন তারা -ওয়েবসাইট
ডেভিড মালান ও ইয়ন মরগান করলেন বিধ্বংসী ব্যাটিং। বইয়ে দিলেন চার-ছক্কার বন্যা। আর তাতে গড়া হলো একগাদা রেকর্ড। টি২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের দেখা পেল ইংল্যান্ড। সেই রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে পেরে উঠল না নিউজিল্যান্ড। তারা স্বাদ নিল বড় হারের। শুক্রবার নেপিয়ারে সিরিজের চতুর্থ টি২০ ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৭৬ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। কিউইদের বিপক্ষে এটাই ইংলিশদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এদিন ম্যাকলিন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মালান ও মরগানের দ্রম্নততম সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে রেকর্ড ২৪১ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর তারা নিউজিল্যান্ডকে ১৬.৫ ওভারে ১৬৫ রানে গুটিয়ে দেয়। ফলে চার ম্যাচ শেষে সিরিজ ২-২ এ সমতায়। দ্রম্নততম সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেভিড মালান। সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে রোববার অকল্যান্ডে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। ম্যাকলিন পার্কের ব্যাটিং স্বর্গে তিনে নেমে ৫১ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন মালান। মরগানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ বলে ৯১ রান। ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে ঝড় তোলেন মালান ও মরগান। আগ্রাসন চালান নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর। ৫৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মরগান ও মালান। ২১ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ফিফটিতে পৌঁছান মরগান। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে পেছনে ফেলে গড়েন দেশের দ্রম্নততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০১৮ সালে বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২ বলে ফিফটি করেন বাটলার। এর আগে ৩১ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে ফিফটিতে পৌঁছান মালান, হাফসেঞ্চুরির পর আরও মারকুটে হয়ে ওঠেন তিনি। বাকি পঞ্চাশ পার করতে তিনি খেলেন আর মাত্র ১৭ বল। ৪৮ বলে ৯ চার ও ৬ ছয়ে ইংল্যান্ডের দ্রম্নততম সেঞ্চুরি করেন মালান। অ্যালেক্স হেলসের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে শতক করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে মরগানকে ফেরান টিম সাউদি। ৭টি করে চার ও ছয়ে ৪১ বলে ৯১ রান করেন সফরকারী অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে মালানের সঙ্গে তার ছিল ১৮২ রানের জুটি, যেটা ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ। ৫১ বলে ৯ চার ও ৬ ছয়ে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মালান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার দুই উইকেট তুলে নেন। বিশাল লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী খেলার বিকল্প ছিল না কিউইদের সামনে। কলিন মুনরোর (৩০) সঙ্গে ৪.৩ ওভারে ৫৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে বিদায় নেন মার্টিন গাপটিল (২৭)। এরপর পার্কিনসনের স্পিনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর স্যান্টনারকে নিয়ে শেষ প্রতিরোধ গড়েন টিম সাউদি। অধিনায়কের ১৫ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো ৩৯ রানের ঝড় থামে পার্কিনসনের শিকার হয়ে। ইংলিশ স্পিনার পার্কিনসন ৪৭ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দুটি উইকেট পান ক্রিস জর্ডান। সংক্ষিপ্ত স্কোর ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ২৪১/৩ (ব্যান্টন ৩১, মালান ১০৩*,বেয়ারস্টো ৮, মরগান ৯১; সাউদি ১/৪৭, স্যান্টনার ২/৩২) নিউজিল্যান্ড: ১৬.৫ ওভারে ১৬৫ (গাপটিল ২৭, মানরো ৩০, টেলর ১৪, সাউদি ৩৯; স্যাম কারান ১/৩৬ টম কারান ১/২৬ জর্ডান ২/২৪, পার্কিনসন ৪/৪৭, ব্রাউন ১/২৯) ফল: ইংল্যান্ড ৭৬ রানে জয়ী। ম্যাচেসেরা: ডেভিড মালান।