বিশেষ অনুশীলনে কোহলিরা

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইন্দোর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার খোশমেজাজে রয়েছেন কোহলি-পূজারা-জাদেজারা -বিসিবি
ভারতের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে প্রায় ক্লোজ কাউন্টারের জন্ম দিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। এবার সাদা পোশাকে পূর্ণ শক্তির ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে মুমিনুল হকের টেস্ট দল। সাদা পোশাকে প্রথমবার দুই দলই খেলতে যাচ্ছে দিবা-রাত্রির টেস্ট। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বলে এই টেস্টে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না স্বাগতিকরা। খুব বেশি সময় নেই বলে, প্রথম টেস্টের আগেই দিবা-রাত্রির টেস্টের জন্য বিশেষ অনুশীলনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে ইন্দোরে। শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে দ্বিতীয় টেস্টটি হবে দিবা-রাত্রির। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত ৮ পয়েন্টের লিড নিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এই সিরিজ দিয়েই চ্যাম্পিয়নশিপে নাম লেখাতে যাচ্ছে। টি২০তে এই বাংলাদেশই স্বাগতিকদের খুব চাপে রাখায় সতর্কতা অবলম্বন করছে কোহলিরা। আর তাই প্রথম টেস্টের আগে দিবা-রাত্রির টেস্টের জন্য আলাদা অনুশীলন করবে ভারত। স্বাগতিকদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কিউরেটর সামান্দার সিং চৌহান, 'গোলাপি বলে আজ (মঙ্গলবার) থেকেই ভারতীয় দলের অনুশীলন করার কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কালো স্ক্রিনের বিপরীতে আলোর নিচে তারা অনুশীলন করার জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেছে। আমরাও তার ব্যবস্থা করেছি। বলতে পারেন দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচের জন্য এই ভেনু্যতে কোহলি-রোহিতরা আগাম প্রস্তুতিটা সেরে নিচ্ছেন।' অনেক দিক দিয়েই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি ঐতিহাসিক। দুটি দলই প্রথমবারের মতো ফ্লাড লাইটের আলোতে টেস্ট খেলবে। আর এ টেস্টেই প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে এসজি বল। আগের ১১টি দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলা হয়েছে হয় কোকাবুরা অথবা ডিউক বলে। জানা গেছে, অনুশীলনের জন্য ইতোমধ্যে এসজি বলের একটি ব্যাচ বিসিসিআইর হাতে পৌঁছেছে। আর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি হবে কলকাতায়। তবে ইন্দোরে হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট নিয়েও খুব করে ভাবছে স্বাগতিকরা। ইন্দোরের পিচ পেসারদেরই সহায়তা করবে বলে জানা গেছে। টেস্ট দলে মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবরা থাকায় তেমন সম্ভাবনাই প্রবল। এদিকে গোলাপি বল কেমন জানা নেই সফরকারী টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের। ইমরুল কায়েস কিছুটা অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন মিরপুরে। স্কোয়াডের কোনো খেলোয়াড় কখনো গোলাপি বলে ম্যাচ না খেলায় শঙ্কার চোরা স্রোত বাংলাদেশ দলে। রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন, একটা প্রস্তুতি ম্যাচ পেলে ক্রিকেটাররা কিছুটা ধারণা পেতেন সামনে ঠিক কী অপেক্ষা করছে। ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্ট দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের। এই ম্যাচকে খেলোয়াড়রা কম গুরুত্ব দিচ্ছেন এমন না। তবে লাল বলের ক্রিকেটে নতুন করে অভ্যস্ত হওয়ার কিছু নেই। উপমহাদেশে খেলা বলে বড় পরিবর্তনের কোনো দরকারও দেখছেন না তারা। কিন্তু কলকাতায় প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারতেরও প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট হবে এটি। দিলিপ ট্রফির তিনটি আসরে তারা গোলাপী বল দিয়ে খেলায় কিছুটা হলেও ধারণা আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। প্রথম টেস্টের আগে ক্রিকেটারদের মনে ঘুরে ফিরে আসছে দ্বিতীয় টেস্টের কথা। ভারত সফরের শুরুতেই শেষ ম্যাচটি নিয়ে বেশি বলতে হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধান কোচকে। তার কণ্ঠে ঝরেছিল কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকার আক্ষেপ, 'খুব ভালো হতো গোলাপি বলে যদি দুই দিনের একটা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলা যেত। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে আমার সময়ে অ্যাডিলেইড টেস্টের আগে গোলাপি বলে একটা দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম আমরা। প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে মাত্র তিন দিনের ব্যবধান বলে কিছু খেলোয়াড়ের মধ্যে বেশ উদ্বেগ আছে। ট্রাভেলের পর অনুশীলনের জন্য সময় মোটে দুদিন। তৈরি হওয়ার তেমন সময় নেই।'