এনসিএলের চারটি ম্যাচই ড্র

শিরোপার কাছাকাছি খুলনা

নাসির ১৬১*, মার্শাল ১৬৩, ফরহাদের ৬ উইকেট

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের সবগুলো ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। ফলে আরও একটি শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে খুলনা বিভাগ। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা। শেষ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে তাদের শিরোপা। তবে সুযোগ থাকছে ঢাকারও। শেষ রাউন্ডে খুলনাকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। শেষদিনে নজর কেড়েছেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ১৬৩ রান। আগেরদিন সেঞ্চুরি তোলা নাসির হোসেনও ১৬১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের ফরহাদ রেজা পেয়েছেন ৬টি উইকেট। রাজশাহী-খুলনা বিভাগ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে খুলনা। শেষদিনে ফরহাদ রেজার তোপে পড়ে দলটি। একাই শেষ ছয়টি উইকেটই তুলে নেন এ পেসার। ফলে এদিন আরো ৪৭ রান যোগ করে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৪৮ রানের খরচায় ফরহাদ পান ৬টি উইকেট। ৫০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী। ৫ উইকেটে ৯৮ রান তোলার পর দুই দলই ড্র মেনে নেয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে এক ঘণ্টা আগেই শেষ হয় ম্যাচটি। ঢাকা-রংপুর বিভাগ বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৫ উইকেটে ২০০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে রংপুর। এদিন আরও ৪টি উইকেট হারিয়ে ৭১ যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাসির হোসেন দারুণ ব্যাটিং করে ১৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান করার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় খেলাটি। দারুণ ব্যাট করে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন রকিবুল হাসান। ১৭৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। সিলেট-ঢাকা মেট্রো রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ঢাকা মেট্রো। এদিন আরও তিন উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান যোগ করে তারা। ৬ উইকেটে ৩৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। ৭৩ রানে ব্যাট করা মার্শাল আইয়ুব এদিন সেঞ্চুরি তুলে ১৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে সিলেট। এরপর দুই দল ড্র মেনে নিলে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক আগেই ম্যাচটি শেষ হয়। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তৌফিক খান। বরিশাল-চট্টগ্রাম বিভাগ বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগের তিন দিন খেলা না হলেও চতুর্থ দিনে মাঠে বল গড়িয়েছে। যদিও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিতই ছিল। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৭০ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে। পরে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করে চট্টগ্রাম বিভাগ। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল।