ইন্দোর টেস্টে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তবে একজন ঠিকই ভারতীয়দের বিপাকে ফেলেছিলেন। স্বাগতিকদের সেরা ব্যাটসম্যানদের আউট করে চার উইকেট তুলে নিয়ে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। সিলেটের এই ডানহাতি পেসার আউট করেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, চেতশ্বর পূজারা, আজিঙ্কা রাহানের মতো ব্যাটসম্যানদের। এর মধ্যে কোহলির উইকেটই জীবনের সেরা বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বের প্রায় সব বোলারই সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কোহলিকে আউট করতে মুখিয়ে থাকেন। রাহির মনেও ছিল কোহলিকে আউট করার স্বপ্ন। টেস্টে ভারতের সঙ্গে নিজের প্রথম দেখায় পূরণ হয়েছে সে স্বপ্ন। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চেতশ্বর পূজারাকে স্স্নিপে ক্যাচ বানানোর দুই বল পরই তিনি শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলিকে। রাহির ভেতরে ঢোকা বলে লাইনমিস করলে পেছনের পায়ে লাগে স্বাগতিক অধিনায়কের। এলবিডবিস্নউর জোরালো আবেদন মাঠের আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে উৎসবে মাতে বাংলাদেশ।
ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনে ভারতের ইনিংসের শুরুতে রাহি ফেরান রোহিত শর্মাকেও। এই দুই উইকেটের মূল্য তার কাছে আলাদা, তবে কোহলির উইকেট জীবনের সেরা বললেন তিনি, 'অবশ্যই ভালো লাগছিল, কারণ কোহলি বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। তাকে আউট করা আমার কাছে মনে হয়েছে স্বপ্নের উইকেট। সারাজীবনের সেরা উইকেট'। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সু্যয়িং করানোর পারদর্শিতা সবচেয়ে বেশি তার। জানালেন সু্যয়িং করিয়েই মিলেছে এই সাফল্য, 'এতবেশি মুভমেন্ট পাচ্ছিলাম না, এজন্য সু্যয়িং করাতে চেষ্টা করছিলাম। আমার অস্ত্র হলো সু্যয়িং। সু্যয়িং করিয়ে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করা। আর ভালো জায়গায় বল ফেলার চেষ্টা করেছি।'
৭৩ রানেই ৪ উইকেট পেয়ে গিয়েছিলেন, তবে ইনিংস শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৫-৩-১০৮-৪। ফিল্ডাররা ক্যাচ না ছাড়লে অনায়াসে এই ফিগার হতে পারত আরও ভালো। যে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন বাংলাদেশকে, সেই আগারওয়ালকেও প্রথম দিনেই ফেরাতে পারতেন তিনি। তবে ওসব ভেবে আর আফসোস বাড়াচ্ছেন না রাহি, 'এগুলো সবই খেলার অংশ। ম্যাচে মিস হয়ে গেলে কিছু করার নাই।'
