সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাথায় চোটের পর শঙ্কামুক্ত নাঈম ক্রীড়া ডেস্ক সাইফ হাসানের ছিটকে যাওয়ার দিন আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। অনুশীলনের সময় মাথায় চোট পেয়েছেন নাঈম হাসান। তবে আশার খবর, গুরুতর নয় তরুণ এই অফ স্পিনারের চোট। শেষ ম্যাচের ভেনু্য শহর কলকাতায় আসার পর বুধবার প্রথমবারের মতো অনুশীলন করে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে মাথায় চোট পান নাঈম। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উডল্যান্ড হাসপাতালে। করা হয় সিটি স্ক্যান। হাসপাতালের চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু জানান, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক আছেন নাঈম। তিনি বলেন, 'নাঈম মাথায় চোট পেয়েছিলেন। ওকে এখানে নিয়ে এসেছিল, ট্রিটমেন্ট করলাম। চোট গুরুতর নয়। সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। স্বাভাবিক আছে। একটু ব্যথা পেয়েছে।' সিটি স্ক্যানের পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে নাঈমকে। প্রথম টেস্টে খেলেননি এখনো দেশের বাইরে কোনো টেস্ট না খেলা নাঈম। এখন পর্যন্ত ৩ টেস্ট খেলে ২৩.৭০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন ১৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করবেন শাহাদাত ক্রীড়া প্রতিবেদক নিষেধাজ্ঞার মানসিক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু মেয়াদ জানতে পেরে হতভম্ব হয়ে গেছেন শাহাদাত হোসেন। মাঠেই সতীর্থের গায়ে হাত তুলে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া পেসার জানালেন, নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করবে দু-একদিনের মধ্যেই। জাতীয় ক্রিকেট (এনসিএল) লিগের ম্যাচে রোববার কথা কাটাকাটির জের ধরে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে মাঠেই মারধর করেন শাহাদাত। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই পেসারকে। অর্থাৎ তিন বছরের আগে ফিরতে পারছেন না মাঠে। তার বয়স এখন ৩৩। তিন বছর মাঠের বাইরে থাকা মানে ক্যারিয়ার একরকম শেষই। এত দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা তাই মানতেই পারছেন না শাহাদাত। আপিলে নিষেধাজ্ঞা কমবে বলেই বিশ্বাস আছে তার, 'আমি ভুল করেছি, সেটি বুঝতেও পেরেছি। আরাফাত সানিকে মাঠে ধাক্কা দিয়েছি, কাজটা ঠিক হয়নি। ওর সঙ্গে পরে মিটমাটও হয়ে গেছে। ভাবতেও পারিনি এত বড় শাস্তি পাব। আমি প্রচন্ড হতাশ। তবে আপিল অবশ্যই করব। আমার ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললে আশা করি শাস্তি কমবে।' আপিল করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পর্যন্ত সময় আছে শাহাদাতের। তবে দ্রম্নতই আপিল করবেন বলে জানালেন তিনি, 'আমাকে নিয়ে অনেক কথাই হয়। কিন্তু ক্রিকেটে আগে কখনোই বাজে কিছু করিনি। মাঠে খারাপ কিছুর রেকর্ড নেই। উনারা নিশ্চয়ই এসব বিবেচনা করবেন। ক্রিকেট ছাড়া আর কিছু পারি না। ক্রিকেট খেলেই জীবন চালাতে হবে। আশা করি আমার ব্যাপারটি বোর্ড ভেবে দেখবে।' এর আগে নিজ বাসার শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে জেলে যেতে হয়েছিল শাহাদাতকে। জামিনে জেল থেকে মুক্তির পর নিজের ভুল স্বীকার করে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন শাহাদাত। সেবার এই পেসারকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল বিসিবি। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জীবিকার কথা ভেবে আবার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ক্রিকেটে ফেরার। ধীরে ধীরে আবার নিজের জায়গা করে নিচ্ছিলেন। গত বছর বাংলাদেশ সফরে আসা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের বিসিবি একাদশে সুযোগও মিলেছিল। এবার জাতীয় লিগে আগের ম্যাচটিতেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। কিন্তু আবার শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে ঠেলে দিলেন ঘোর অনিশ্চয়তায়।