বায়ার্নের গোলোৎসব, কষ্টে জিতল জুভেন্টাস

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চার গোল করার পর উচ্ছ্বসিত রবার্তো লেভানদোভস্কি
ক্রীড়া ডেস্ক দ্রম্নত সময়ে প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসবের কীর্তি আগেও ছিল রবার্তো লেভানদোভস্কির। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তেমনটি করে এবার ইতিহাসে নাম লেখালেন পোলিশ এই স্ট্রাইকার। মঙ্গলবার রাতে তার একার চার গোলের সঙ্গে অন্য দুজনের গোল মিলিয়ে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। বড় এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রম্নপ 'বি'তে শীর্ষস্থান অর্জন করার পাশাপাশি নকআউটও নিশ্চিত করেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। তবে বায়ার্নের গোল উৎসবের রাতে কষ্টের জয় পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাস। প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে এগিয়ে থেকেও জয় পায়নি জুভরা। তবে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ঠিকই জয় আদায় করে নিয়েছে তারা। খেলায় অবিশ্বাস্য এক গোল করেছেন পাওলো দিবালা। দুরূহ কোণ থেকে নেয়া তার ফ্রি-কিক গোলেই জয় পায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ে গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখায় তুরিনের বুড়িরা। বায়ার্নের হাফডজন গোলের শুরুটা করেন লিওন গোরেৎজকা। ১৪ মিনিটে লিড পায় অতিথিরা। এরপরই লেভানদোভস্কি ১৪ মিনিটের মধ্যে ঝড় বইয়ে দিলেন। ৫৩, ৬০ মিনিটে গোলের পর ৬৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ৬৭ মিনিটে করেন চতুর্থ গোল। পরে ৮৯ মিনিটে বেলগ্রেডকে শেষ পেরেক ঠোকেন কোরেন্টিন টোলিসো। এক হালি গোল করার পথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ এক রেকর্ড করেছেন লেভানদোভস্কি। সবচেয়ে কম সময়ে চার গোল করার রেকর্ড গড়েন ৩১ বছরের পোলিশ সুপারস্টার। লিওনেল মেসির পর তিনি দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুইবার চার গোল করলেন। এর আগে ২০১১-১২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ৪-০ গোলে জেতা ম্যাচে চার গোল করেছিলেন। পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে টটেনহ্যাম হটস্পার। গ্রম্নপের বাকি দু'দলের পয়েন্ট যথাক্রমে তিন ও এক। এদিকে, ঘরের মাঠে এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল জুভেন্টাস। অ্যারন রামসের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে কোণাকুণি শট নিয়েছিলেন পাওলো দিবালা। ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলকিপার ইয়ান ও'বস্নাক। ম্যাচের ২৪ মিনিটে কিয়েরেন ট্রিপিয়েরের পাস থেকে দূরপালস্নার দারুণ এক শট নিয়েছিলেন সাউল নিগুয়েজ। অ্যারন রামসের গায়ে লেগে দিক বদলে বল জালের দিকেই যাচ্ছিল। কোনোমতে ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন জুভ গোলকিপা সজেনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অবিশ্বাস্য গোলটি করেন পাওলো দিবালা। ডানপ্রান্ত ডি-বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় জুভেন্টাস। প্রায় পাঁচ ডিগ্রি মতো কোণ থেকে জোরাল এক শটে ও'বস্নাককে বোকা বানান আর্জেন্টাইন তারকা। পাঁচ ম্যাচে চারটি জয় ও একটি ড্রয়ে জুভেন্টাসের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে দুটি জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অ্যাটলেটিকো। পাঁচ ম্যাচের তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। নকআউটে যেতে হলে পরের ম্যাচে লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে জিততেই হবে অ্যাটলেটিকোকে।