রুটের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরি

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ডাবল সেঞ্চুরিতে উচ্ছ্বসিত জো রুট
ব্যাটে বড় রান আসছিল না লম্বা সময় ধরে। খরা কাটিয়ে হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি করলেও তাই বুঝি পুরো তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না জো রুট। চতুর্থ দিনে সেই ইনিংসটাকে আরও বড় করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। প্রথম সফরকারী অধিনায়ক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন নিউজিল্যান্ডে। দলকেও এনে দিলেন বড় লিড। সেডন পার্কে রুট খেলেছেন ২২৬ রানের দারুণ এক নান্দনিক ইনিংস। সোমবার ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৪৭৬ রানে। লিড ছিল তাদের ১০১ রানের। দ্বিতীয়বার জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ৯৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। কেন উইলিয়ামস ৩৭ আর রস টেলর ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। এখনো নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে ৫ রানে। ৫ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা ইংল্যান্ডের ইনিংস এগিয়েছে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রুট ও অলি পোপের ব্যাটে। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ১৯৩ রান। আগের দিনের মতো এদিনও বোলারদেরকে খুব একটা সুযোগ দেননি রুট। ধীরেসুস্থে ইনিংস টেনেছেন। বাজে বল বাউন্ডারিতে পাঠাতেও ভুল করেননি। সেঞ্চুরিটি ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির। তবে দুইশতে পৌঁছেছেন তুলনামূলক দ্রততায়। ম্যাট হেনরির বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৪১২ বলে ২২টি চারে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। তার ক্যারিয়ারের এটি তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম। নিউজিল্যান্ডে সফরকারী অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংসের আগের রেকর্ড ছিল ক্রিস গেইলের ১৯৭, নেপিয়ারে ২০০৮ সালে। অন্যপ্রান্তে রুটকে দারুণ সঙ্গ দেয়া অলি পোপ নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটিতে পৌঁছান ১৬৭ বলে। দুজনের জুটিতে ইংল্যান্ডের লিড যখন তিন অঙ্কের দিকে ছুটছে, তখনই আঘাত হানেন নিল ওয়েগনার। শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন পোপ। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বল গিয়ে জমা পড়ে ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা জিত রাভালের হাতে। ২০২ বলে ৭৫ রান করে ফেরেন পোপ। ইংল্যান্ডের ধসের শুরু সেখান থেকেই। পরের ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ডিপ কাভারে হেনরি নিকোলসকে ক্যাচ দেন রুট। ৪৪১ বলের ইনিংসে ২২টি চারের পাশাপাশি ছিল ১টি ছয়। বলের হিসেবে টেস্টে এটিই রুটের দীর্ঘতম ইনিংস। লোয়ার অর্ডারে ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে দ্রম্নত তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে আর খুব বেশি দূর এগোতে দেননি ওয়েগনার। ২১ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামে ৪৭৬ রানে। ২০১৭ সালের পর টেস্টে যা তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ১২৪ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে কিউইদের সবচেয়ে সফল বোলার ওয়েগনার। ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিউজিল্যান্ড ২৮ রানের মধ্যেই হারার দুই ওপেনার টম লাথাম ও জিত রাভালকে। রানের খাতা খোলার আগেই স্যাম কারানের বলে ফেরেন রাভাল। ওকসের বলে স্স্নিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ল্যাথাম করেন ১৮। শেষ সেশনের শেষ দুই ঘণ্টায় অবশ্য আর কোনো বিপদ হতে দেননি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর।