নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

হ্যামিল্টন টেস্ট ড্র, সিরিজ কিউইদের

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
হ্যামিল্টন টেস্টে মঙ্গলবার শেষ দিনে সেঞ্চুরির দেখা পান রস টেলর। এর আগে কেন উইলিয়ামসনও সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত দিন শেষে এ দুজনই অপরাজিত থাকেন -ওয়েবসাইট
চতুর্থদিন শেষেই হ্যামিল্টন টেস্টের ভাগ্য অনেকটা লেখা হয়ে গিয়েছিল। পঞ্চমদিনে বাকি কাজটা করে দিল প্রকৃতি। কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরের দায়িত্বশীল সেঞ্চুরির সঙ্গে মিলে ম্যাচ ড্র করে দেয় বৃষ্টি। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা হয়নি। হ্যামিল্টন টেস্ট ড্র হলেও সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জেতায় ১-০'তে সিরিজ জিতল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৩৭৫ রান। জবাবে ইংলিশরা তোলে ৪৭৬ রান। চতুর্থদিন শেষে স্বাগতিকরা ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৯৬ রান। আর শেষদিন যেটুকু খেলা হয়েছে তাতে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকরা করে ২৪১ রান। তবে এই রানের মধ্যে আবার সেঞ্চুরির দেখা পান কেন উইলিয়ামসন (১০৪*) ও রস টেলর (১০৫*)। এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের লিড ছিল ১৪০ রানে। যদিও সিরিজ বাঁচাতে এই টেস্ট জয়ের বিকল্পনা ছিল না ইংল্যান্ডের। কিন্তু শেষ দিনে খেলা ৪১ ওভারে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি সফরকারীরা। দেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে সবার ওপরে এই দুজনের জায়গা পিঠেপিঠি। এবার দুইজন আরেকধাপ এগিয়ে গেলেন একসঙ্গেই। ২১তম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর ১৯তম। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নিশ্চিত করে দিল ড্র। উইলিয়ামসন ও টেলরের ২১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিয়েছে ম্যাচের নিয়তি। ড্র হয়েছে হ্যামিল্টন টেস্ট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল না এই সিরিজ। তবে সিরিজ জিতে টেস্ট র?্যাংকিংয়ের দুইয়ে অবস্থান আরেকটু সংহত করেছে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের শেষ দিনে মঙ্গলবার কিউইরা ২ উইকেটে ২৪১ রান তোলার পর দ্বিতীয় সেশনে বৃষ্টি এসে খেলা শেষ করে দেয় আগেই। উইলিয়ামস তখন অপরাজিত ছিলেন ১০৪ রানে, টেইলর ১০৫ রানে। সেঞ্চুরির পথে নিউজিল্যান্ডের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন টেলর। শীর্ষে থাকা স্টিভেন ফ্লেমিংকে ছুঁতে তার প্রয়োজন আর কেবল ১০০ রান। উইলিয়ামসন ও টেলরের জুটি জমে গিয়েছিল আগের দিনই। তার পরও শেষ দিনে তাদের অপেক্ষায় ছিল পরীক্ষা। প্রথম সেশনে দ্রম্নত উইকেট হারালে ইংল্যান্ডের সামনে সৃষ্টি হতে পারত জয়ের পথ। সেটি হতে দেননি কিউইদের সেরা দুই ব্যাটসম্যান। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে উইকেট হারায়নি নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তাতেই। ইংল্যান্ড অবশ্য জুটি ভাঙার সুযোগ পেয়েছিল। ৬১ রানে উইলিয়ামসন ক্যাচ দিয়েছিলেন জোফরা আর্চারের বলে। জো ডেনলি যে ক্যাচটি ছাড়লেন, এর চেয়ে সহজ সুযোগ কমই আসে ক্রিকেটে। ৯৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যান উইলিয়ামস, ৮৪ রান নিয়ে টেলর। লাঞ্চের পরপর জো রুটের বলে বাউন্ডারি মেরে উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২৩১ বলে। বাতাসে তখন বৃষ্টির ছোঁয়া। টেলরও নিজের করণীয় বুঝে গিয়েছিলেন। রুটের পরের ওভারেই ৮৯ থেকে টানা তিন বলে এক চার ও দুই ছক্কায় পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। ১৮৪ বলে ছুঁয়ে ফেলেন সেঞ্চুরি। এর দুই বল পরই বৃষ্টি এসে থামায় খেলা। আর শুরু হতে পারেনি। ডাবল সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। ২ টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা কিউই বাঁহাতি পেসার নিল ওয়েগনার।