এসএ গেমস (পুরুষ ক্রিকেট)

মালদ্বীপকে উড়িয়ে শুরু সৌম্য-শান্তদের

বুধবার প্রথম ম্যাচে দুর্বল মালদ্বীপকে ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সৌম্য সরকার-শান্তদের নিয়ে গড়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস ক্রিকেট ইভেন্টে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। বুধবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্বল মালদ্বীপকে ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেন শান্তদের নিয়ে গড়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল। এদিন নেপালের কীর্তিপুরের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৪ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে। জবাবে ১৯.২ ওভারে মালদ্বীপ গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৫ রানে। দুর্বল প্রতিপক্ষ, অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ। মালদ্বীপের বিপক্ষে তবু প্রত্যাশিত ঝড় উঠলো না সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন প্রান্তর ব্যাটে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্কোর বোর্ড অবশ্য হয়েছে সমৃদ্ধ। তানভীর ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে এরপর অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে মালদ্বীপ। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বড় জয় এনে দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। ৭.২ ওভারে এই জুটি তোলে ৫৯ রান। দুই ওপেনারের মধ্যে তুলনামূলক আগ্রাসী ব্যাটিং করা নাঈমকে রানআউট করে জুটি ভাঙেন মোহামেদ মাহফুজ। ২৮ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় নাঈম করেন ৩৮ রান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এরপর দলকে আরও কিছুটা টানেন সৌম্য। দুজনের জুটিতে ৩৬ বলে আসে ৫৩ রান। ৩৩ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৬ রান করে মাহফুজের বলে আউট হন সৌম্য। ক্রিজে এসেই বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু খুব বেশি সময় টেকেননি। ৯ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ রান করে স্টাম্পড হন আজিয়ান ফারহাতের বলে। ইয়াসির আলি চৌধুরীর সাথে শান্তর ১৫ বলে ২৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর দলের সংগ্রহ আরও বাড়ে। ইনিংসের শেষ ওভারে ইব্রাহিম হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে এক চার ও তিন ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৯ রান করেন শান্ত। ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। রান তাড়ায় মালদ্বীপ কখনোই ঠিক জয়ের পথে ছিল না। রান তোলার গতি ছিল শ্লথ, পুরো ২০ ওভার ক্রিজে কাটিয়ে দেওয়াই যেন ছিল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যটাও পূরণ হয়নি তাদের। প্রথম চার ওভার দেখেশুনেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার আহমেদ হাসান ও আলি ইভান। এরপরই শুরু তানভীরের দাপট। নিজের প্রথম ওভারেই বোল্ড করেন ১৬ বলে ১০ রান করা আহমেদকে। প্রতি ওভারেই এরপর উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে ফিরিয়েছেন মোহামেদ রিশওয়ান আজিয়ান ফারহাতকে। আর শেষ ওভারে মালদ্বীপকে দিয়েছেন জোড়া ধাক্কা, পেয়েছেন আলি ইভান ও মোহামেদ আজামের উইকেট। ৪ ওভার বল করে ৫ উইকেট পেতে তানভীরের খরচ মাত্র ১৯ রান। মালদ্বীপের মিডল আর লোয়ার অর্ডারকে গুটিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন অফস্পিনার আফিফ হোসেন ও লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। আফিফ তুলে নেন উমার আদম ও ইব্রাহিম হাসানকে। মিনহাজুলের শিকার আমিল মাউরুফ ও মোহামেদ মাহফুজ। লিম শাফিগকে আউট করে এরপর দলের জয় নিশ্চিত করেন সৌম্য সরকার। আগামী শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।