তলানি থেকেই লড়তে হবে জামালদের

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক এসএ গেমস ফুটবলে দীর্ঘ ৯ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর লক্ষ্য নিয়েই এবার নেপাল গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেই সোনালী দিনটি দেখতে হলে এখন আরও বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে জামাল ভুইয়াদের। প্রথম দুই ম্যাচের ফলই এখন সোনা জয়ের রাস্তাটা আরও কঠিন করে দিয়েছে। আজ দশরথ স্টেডিয়ামে তাই শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই লাল সবুজদের। ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিটে। পাকিস্তান নেই। ভারতও নেই। বাংলাদেশের জন্য এবার তাই ভালো ফল করার রাস্তাটা বেশ সহজই ছিল। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে এবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও স্বাগতিক নেপাল। কঠিন প্রতিপক্ষ বলতে নেপালই ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু শুরুটাই যে ভালো হলো না লাল-সবুজদের। প্রথম ম্যাচেই ভুটানের কাছে ১-০ গোলের হার। প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবার। কিন্তু সেটি আর হলো কই! তাদের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করে খাদের কিনারে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। কাগজে-কলমে আশা টিকে থাকলেও বাস্তবতা বলছে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের স্বপ্নটা তো কঠিন হবেই। গত আসরের মতো অন্তত ব্রোঞ্জ জেতাটাও খুব একটা সহজ হবে না। কারণ লিগ ভিত্তিক এবারের আসরের শীর্ষে থাকা দুই দল মুখোমুখি হবে সোনাজয়ের লড়াইয়ে। সেই লড়াইয়ে পেছনের সারিতেই বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১ পয়েন্ট। তারা আছে তলানিতে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে এগিয়ে ৪র্থ স্থানে শ্রীলংকা। দুই পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে এগিয়ে মালদ্বীপ। তিন পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হবার সম্ভাবনা তৈরি করেছে ভুটান। ১ ম্যাচ খেলেই গোল গড়ে প্রথম স্থানে আছে নেপাল। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। তাই শীর্ষে থাকার সম্ভাবনাই বেশি স্বাগতিক দলটির। বাংলাদেশ আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে জিততে পারলে এবং শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলে ভালো কিছু নিয়েই ফিরতে পারবে। তাই বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে এখনো আশা ছেড়ে দেননি। স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেলেও এখনো সুযোগ দেখছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, 'আমাদের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। হাতে দুটি ম্যাচ আছে। এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব।' মালদ্বীপের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেলেই আর এত সমীকরণের মুখোমুখি হতে হতো না বাংলাদেশকে। এসএ গেমসে শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশের দেখা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। যে আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজরা। গ্রম্নপে পর্বের ঐ ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ দল। ২০১৬ সালে দুই দল খেলেছে দুই গ্রম্নপে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ জিতেছিল স্বর্ণ আর শ্রীলংকা গ্রম্নপ থেকেই বিদায় নিয়েছিল। ২০০৬ সালে শ্রীলংকা সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেললেও বাংলাদেশ গ্রম্নপপর্ব থেকেই বাদ পড়ে। তাই দুই দলের দেখা হয়নি। এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে শ্রীলংকা।