শুরুতেই প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান

ভালো খেলাই লক্ষ্য বাংলাদেশের

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে এখনো চারদিন বাকি। তবে ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে আজই। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ (অনূধ্বর্-২৩ দল)। পেট্রিয়ট চন্দ্রবাঘা স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠেয় ‘বি’ গ্রæপের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। তাদের পরবতীর্ দুই প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড আর কাতার। প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিধর। তাই জয়-পরাজয়ের হিসাব দূরে সরিয়ে রেখে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলাই লক্ষ্য বাংলাদেশের। এবারের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ মূলত ঘরের মাঠে সাফ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। ওই দুই টুনাের্মন্টের আগে এশিয়ান গেমসে দলকে পরখ করার সুযোগ পাচ্ছেন কোচ জেমি ডে। আসলে এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনা নেই। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই ব্যাংকক এশিয়ান গেমস (১৯৭৮ সাল) থেকে ফুটবলে অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ। মাঝে ১৯৯৪ এবং ১৯৯৮ আসরে অংশ নেয়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ পযর্ন্ত ২৩টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। সবের্শষ জয়টি এসেছে গত ইনচন এশিয়ান গেমসে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে। ইনচন এশিয়ান গেমসেও বাংলাদেশের গ্রæপে ছিল উজবেকিস্তান। তাদের কাছে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ গোলে। ফিফা র‌্যাংকিংয়েও দুই দলের ব্যবধান বেশ। বাংলাদেশ যেখানে ১৯৪ নম্বরে, সেখানে উজবেকিস্তান ৯৫তম। এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান। তবে সেটি অনূধ্বর্-২৩ পযাের্য় নয়। জাতীয় দল খেলেছে এএফসি এশিয়া কাপে। ১৯৯৯ সালে ৬-০, ২০০৬ সালের ফেব্রæয়ারিতে ৫-০ এবং ২০০৬ সালের অক্টোবরে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দলীয় কোচ জেমি পরিসংখ্যানে চোখ রাখতে নারাজ। তার প্রত্যাশা ভালো খেলা উপহার দেবে শিষ্যরা, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা যে ট্রেনিং নিয়েছে, সেটি এখন প্রয়োগ করার সময় এসেছে এশিয়ান গেমসে।’ ইতিহাস বলছে বাংলাদেশের ব্যথর্তাই সম্বল এশিয়ান গেমসে। কিন্তু জেমি ডে বলছেন পুরো দলের মধ্যে একটা পাথর্ক্য দেখতে পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবতর্ন হয়েছে। তারা এখন নিয়মিত জিম করছে। তাই এশিয়ান গেমসে ফল যাই আসুক অন্তত তার দলের লড়াই করার মানসিকতা আছে বলে মনে করছেন জেমি। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে শিষ্যরা ভালো খেলেছে, কোচ তাই আশাবাদী, ‘ছেলেরা ট্রেনিংয়ে যে পারফরম্যান্সটা দেখিয়েছে, আমরা যে প্রস্তুতি ম্যাচগুলো খেলেছি সেগুলোতেও একই রকম পারফরম্যান্স করেছে। তাদের মধ্যে একটা দল হয়ে খেলার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। তাদের সব থেকে ভালো যে গুণটি আমার চোখে ধরা পড়েছে সেটি হলো হেরে না যাবার একাগ্রতা এবং কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা।’