সঠিক পথেই জাতীয় ফুটবল দল?

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

মাহবুবুর রহমান
এশিয়ান গেমসে উজবেকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচ সামনে রেখে ইন্দোনেশিয়ার জাকাতার্য় অনুশীলনে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা Ñবাফুফে
ব্যথর্তা কারোই কাম্য নয়। সাফল্যের পেছনেই ছোটে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশের ফুটবলও কি সেই পথে ছুটছে? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মনে করছে, সঠিক পথেই হঁাটছে জাতীয় দল। র‌্যাংকিংয়ে তলানির দিকে নেমেই চলেছে বাংলাদেশ। সেখানে একটু স্বস্তির হাওয়া- দেরিতে হলেও আন্তজাির্তক অঙ্গনে ফিরতে শুরু করেছে জাতীয় দল। যদিও বাফুফের ক্যালেন্ডার প্রণয়ন হতে হতেই বছরের প্রায় শেষ! তবে বাকি পঁাচ মাসের মধ্যেই তিনটি আন্তজাির্তক টুনাের্মন্ট খেলবে দল। সাফল্য-ব্যথর্তার হিসেব হয়তো ওই টুনাের্মন্টগুলো শেষের পর করাই হয়তো সমীচীন হতো। ২০১৬ সালের ভুটান বিপযের্য়র পর থেকেই মূলত ছেলেদের ফুটবলে ব্যস্ততা কমতে থাকে। ওই এক হারের কারণেই এক বছরেরও বেশি সময় কোনো আন্তজাির্তক ফুটবল ম্যাচ পায়নি জাতীয় দল। তবে সব ব্যথর্তা ঝেড়ে ফেলে আবারও মাথা তুলে দঁাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। ভেঙেচুঙে নতুন এক জাতীয় দল গঠনের চেষ্টা চলছে। একটু সাফল্য পাওয়ার আশায় কোচের চেয়ারেও বসানো হয়েছে নতুন মুখ- ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। নতুন কোচিং স্টাফ নিয়ে জেমি এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এশিয়ান গেমসের জন্য বাংলাদেশ দলকে প্রস্তুত করতে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে সাফল্য পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। একটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও দুটিতে জিতেছে তারা। যদিও প্রতিপক্ষ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় দল, তবুও জয়গুলোকে ছোট করে দেখতে নারাজ বাফুফে। জেমির শিষ্যদের সাফল্যে খুশি দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ তো বেশ জোরেসোরেই বলে দিলেন, ‘আমরা কাতার এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যে ফলাফল পেয়েছি তা যথেষ্ট ভালো। আমাদের টিম যথেষ্ট উজ্জীবিত আছে।’ একই কথা বলেছেন কোচ জেমি। জানিয়ে রেখেছেন, ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগোচ্ছে তার শিষ্যরা। ১৮ আগস্ট থেকে শুরু এশিয়ান গেমস। তবে আজই শুরু হয়ে যাবে ফুটবল ইভেন্ট। বাংলাদেশ পড়েছে কঠিন গ্রæপে। বাফুফে তাই বড় আশা করছে না। অভিজ্ঞতা অজর্নই এখানে মুল লক্ষ্য। সেই অভিজ্ঞতা পরবতীর্ দুটো আসরে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় ওই দুটো আসরকে ঘিরে অনেক কিছুর পাওয়ার সুবিশাল প্রত্যাশা বাফুফের। আগামী সেপ্টেম্বরে রয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। আপাতত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকেই পাখির চোখ করেছে বাংলাদেশ। একই কথা বললেন কাজী নাবিলও, ‘এশিয়ান গেমসটা আমাদের জন্য একটু কঠিন। কারণ আমরা সেখানে কঠিন গ্রæপে পড়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আমাদের যে কোচিং স্টাফ রয়েছে তাদের হাত ধরে আমরা সামনে হয়তো আরও ভালো ফল পাব।’ সবের্শষ ২০০৩ সালে ‘দক্ষিণ এশিয়ার বিশ^কাপ’খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এর পরের ছয়টি আসরে আর শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি। গত তিন আসরে সাফল্যের মিটার নেমে গেছে আরও নিচের দিকে। তিন আসরে গ্রæপ পবর্ থেকেই বাদ পড়েছে বাংলাদেশ। এবার আর ব্যথর্তা চায় না বাফুফে। দেশের ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে ঘরের মাঠে নিজেদের সাফল্যে রাঙাতে চায়। এ কারণেই দেশে-বিদেশে এত প্রস্তুতি ক্যাম্প আর অনুশীলন ম্যাচের আয়োজন। ৪ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত অনুষ্ঠিত হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপর অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। টানা তিন মাসে তিনটি বড় টুনাের্মন্টের ব্যস্ত সূচিতে জাতীয় দল। ওই আসরগুলো থেকে সাফল্য আসুক বা না আসুক; আন্তজাির্তক ফুটবলে আবার ব্যস্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এটাই বড় স্বস্তি।