রুপা জিতে আঁখির ইতিহাস

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আরদিনা ফেরদৌস আঁখি
কাঠমান্ডুতে দারুণ এক কীর্তি গড়ছেন আরদিনা ফেরদৌস আঁখি। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে মেয়েদের পিস্তলের একক ইভেন্ট থেকে বাংলাদেশকে প্রথম রুপা এনে দিয়েছেন এই শুটার। সাতদোবাতোর ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপেস্নক্সে শুক্রবার ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ২৩৪ দশমিক ৬ স্কোর গড়ে রুপা জেতেন আঁখি। ২৩৮ দশমিক ৪ স্কোর নিয়ে সেরা হন ভারতের পারমানানথাম। মেয়েদের পিস্তল থেকে গত এসএ গেমসের দলগত ইভেন্ট থেকে রুপা পেয়েছিল বাংলাদেশ। শিলং-গুয়াহাটির আসরে আরমিন আশা ও তুরিং দেওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে রুপাটি জিতেছিলেন আঁখি। এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসরে শুটিং থেকে এ নিয়ে চতুর্থ রুপা পেল বাংলাদেশ। এর আগে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত, ছেলেদের ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশন (দলগত) ও মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে দলগত থেকে রুপা এসেছিল। পদকের লড়াইয়ে আঁখির শুরুটা ভালো ছিল না। তবে একে একে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীরা ছিটকে পড়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে বলে জানালেন ২৬ বছর বয়সি এই শুটার, 'যখন দেখছিলাম ভারতের অনেক সিনিয়র শুটার বের হয়ে যাচ্ছেন, তখন মনে হয়েছে হয়তো একটু ভালো করছি। তখন একটু নাভার্সনেস চলে এসেছিল। মনে হচ্ছিল এখন মেডেলের দিকে যাচ্ছি। শেষ দুই শট আলস্নাহর ভরসায় পিস্তলটা তুলেছি আর মেরেছি।' গত আসরে পিস্তলের ব্যাটারিতে সমস্যা হওয়ায় একটি শট নিতে পারেননি আঁখি। বাদ পড়ে যান। কাঠমান্ডু-পোখারার আসরে খেলতে আসার আগেও পিস্তলে সমস্যা ছিল। দুর্ভাগ্য পিছু নিয়েছে- এমন ভয়ও পেয়ে বসেছিল এআইইউবিতে পড়া শুটারকে, 'আসলে নিয়মটা হলো যে এক মিনিটের মধ্যে পিস্তল পরিবর্তন করতে হয়; কিন্তু গতবার এই নিয়ম আমরা জানতাম না। তখন জুরিদের অনেকেই নিয়মটা জানতেন না। এ কারণে ফাইনালে পিস্তল না আনতে পারায় শটটা নিতে পারিনি। বাদ পড়েছিলাম। এবার আসার আগে পিস্তলে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা বাংলাদেশ থেকে ঠিক করে এনেছিলাম। কিন্তু শঙ্কা জেগেছিল- দুর্ভাগ্য কী আবারও সঙ্গী হচ্ছে আমার।' শেষ ধাপে এসে সেরা হতে না পারা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই আঁখির।