এসএ গেমস (পুরুষ ক্রিকেট)

ঝাঁকি খেয়ে জয়, ফাইনালে বাংলাদেশ

টানা তিন ম্যাচ জিতে সাউথ এশিয়ান গেমসে ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। আর তাতে ছেলেদের ক্রিকেটে সোনার সম্ভাবনা জাগল।

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ এসএ গেমসে ছেলেদের ক্রিকেটে জয়রথ অব্যাহত রয়েছে। টানা তিন ম্যাচ জিতে সাউথ এশিয়ান গেমসে ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। তবে নেপালের মতো দলের বিপক্ষে শনিবার একটা বড় ঝাঁকিই খেয়েছে টাইগাররা। যাতে টপঅর্ডার ছিটকে গেলেও শেষপর্যন্ত রক্ষা করেন শান্ত-আফিফ। পরে বোলাররা কাজটা ঠিকঠাক করায় নেপালকে ৪৪ রানে হারায় অনূর্ধ্ব-২৩ দল। হ্যাটট্রিক জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করলেন সৌম্য-শান্ত-আফিফরা। এসএ গেমসে ছেলেদের ক্রিকেটে তাতে সোনার সম্ভাবনা জাগল। অন্তত সোনা বা রুপার মাঝে একটি পদক নিশ্চিতই! বাংলাদেশের মতো এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব-২৩ দলও। এই দুটি দল আজ রোববার লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে একে অপরকে মোকাবিলা করবে। পরেরদিন সোনার পদক জয়ের মূল লড়াইয়ে নামবে তারা। টি২০ ফরম্যাটের লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে পারলেও টেনেটুনে একশ ছুঁয়ে নেপালের ইনিংস থামে ১১১ রানে। ভুটানের বিপক্ষে খেলা আগের ম্যাচে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন সৌম্য। এদিন উল্টো কাঠগড়ায় ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে ব্যর্থ হন তিনি ও জাতীয় দলের আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। মাত্র ১৬ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে বাংলাদেশ। পরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেনের দৃঢ়তায় বিপদ কাটে তাদের। ৬০ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল। ২৮ বলে ৫২ রান করেন আফিফ। বাংলাদেশের বিপদ শুরু প্রথম চার ওভারের মধ্যেই। এ সময় সৌম্য (৬) ও নাঈমকে (৬) হারায় তারা। দু'জনকেই সাজঘরের রাস্তা ধরান নেপালি অলরাউন্ডার পরশ খাড়কা। শেষপর্যন্ত ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। তিনে নামা শান্ত একপ্রান্ত আগলে রাখলেও মাঝখানে সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলী দাঁড়াতে পারেননি। ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫৯/৪। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করে নাজমুল-আফিফ জুটি। ৫৬ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়েন দুজন। এক ছক্কা ও ৬ চারে ইনিংস সাজান আফিফ। শেষ ওভারে তিনি ফিরে যাওয়ার পরের বলেই আউট হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (০)। বাংলাদেশ ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরুটা বোলিংয়ের মতো করতে পারেনি নেপাল। তানভীর ইসলামের সঙ্গে সুমন খান মিলে ১৪ রানের মধ্যেই নেপালিদের ৩ উইকেট তুলে নেন। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ড হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার আগে উইকেট নিয়ে বিপদ বাড়ান সৌম্যও। সুমন-সৌম্যদের উইকেট নেয়ার মিছিলে যোগ দেন মেহেদী হাসান। নেপালের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মাত্র একজন দশের ঘর ধরতে পারেন (দ্বীপেন্দ্র সিং, ১৬)। তাদের ব্যাটিং লাইনআপে আর দু'জনই শুধু দুই অঙ্কে গেছেন, একজন অধিনায়ক জ্ঞানেন্দ্র মলস্ন। তাসের ঘরের নিচে দাঁড়িয়ে ৪৩ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। এছাড়া অবিনাশ বোহরা ১৩ করে যান। বোলিংয়ে দাপট দেখালেও ভুটান ম্যাচের আক্ষেপ থেকেই গেল বাংলাদেশের। নেপালকে শেষপর্যন্ত অলআউট করতে পারেনি তারা। তানভীর ইসলাম, সুমন খান, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। চার ওভার বল করে উইকেটশূন্য থাকেন হাসান মাহমুদ।