সিদ্দিকুরের হাত ধরে এগোচ্ছে গলফ

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক অ্যামেচার গলফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের সদস্যরা -সৌজন্য
ক্রীড়া ডেস্ক বাংলাদেশের সিনিয়র গলফাররা চমৎকার সাফল্য দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বছর নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এশিয়া প্যাসিফিক সিনিয়র অ্যামেচার গলফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। আর ক্রমেই রেজাল্ট ভালো হচ্ছে লাল-সবুজ পতাকাধারী এই সিনিয়র গলফারদের পারফরম্যান্স। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৩ দলের মধ্যে ১৫তম। গত বছর ১৮ দলের মধ্যে অষ্টম। আর এবার ১৫ দলের মধ্যে ষষ্ঠ। এবার গত ২০-২২ নভেম্বর মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া প্যাসিফিক সিনিয়র অ্যামেচার গলফ। ৫৫ ঊর্ধ্ব খেলোয়াড়রাই এতে অংশ নেয়ার ছাড়পত্র পান। বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন প্রথমে এই আসরে কারা কারা নিজ খরচে খেলতে যাবেন এই মর্মে সার্কুলার দেয়। এরপর খেলার মাধ্যমে বাছাই করা হয় দল। এবার বাংলাদেশের দুটি দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল। 'এ' দল ষষ্ঠ স্থান পায়। আর 'বি' দল অর্জন করে অষ্টম স্থান। আটজনের বহর ছিল দলে। এই দলের সদস্য, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সদস্য মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসারের আশাবাদ, বাংলাদেশের সিনিয়র গলফাররা যেভাবে এগোচ্ছে তাতে একসময় আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। গলফে বাংলাদেশের গর্ব সিদ্দিকুর রহমান। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তার অনেক সাফল্য। ২০১৬-এর রিও অলিম্পিক গেমসে সরাসরি কোয়ালিফাই করা গলফার তিনি। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি অ্যাথলেট, যিনি অলিম্পিক গেমসে সরাসরি কোয়ালিফাই করা খেলোয়াড়। সিদ্দিকুর গলফের কল্যাণে দুনিয়া মাতালেও বাংলাদেশের গলফ সম্পর্কে অজানা অন্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের। মেজর (অব.) আফসারের দেয়া তথ্য, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম আসর। সেখানে পৌঁছার পর অস্ট্রেলিয়ানদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না বাংলাদেশ গলফ খেলে। তখন তাদের জানানো হলো নামকরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশেরই। এরপর ধারণা পাল্টে যায় অস্ট্রেলিয়নাদের।' একই অবস্থা ছিল জাপানিদেরও। তারাও অবগত ছিল না বাংলাদেশে গলফে এত সুযোগ-সুবিধা আছে। বাংলাদেশের সিনিয়র গলফারদের কাছে তথ্য জানার পর তারাও বাংলাদেশে এসেছে গলফ খেলতে। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ৭৪ বছর বয়সি আনরল্ড। বাংলাদেশ দলে সত্তরোর্ধ্ব গলফার ছিল। তিনি ৭২ বছর বয়স্ক এনাম চৌধুরী। বাংলাদেশ দলের অন্য সদস্যরা হলেন, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, গ্রম্নপ ক্যাপ্টেন (অব.) নজরুল করিম, মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার, টিআরজি গ্রম্নপের মালিক হারুন, এনাম চৌধুরী ও কর্নেল (অব.) আমিনুল ইসলাম। আসরে অংশ নেয়া অন্য দলগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো: অস্ট্রেলিয়া, গুয়াম, চাইনিজ তাইপে, সিঙ্গাপুর, হংকং, ভারত, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার দুই দল। আগামী বছর এই আসর সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামে হতে পারে।